চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ৫ ইউনিয়ন শেখেরখীল, চাম্বল, শীলকূপ, পুঁইছড়ি ও সরলে গতকাল সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পৃথক পৃথক হামলা ও সংঘর্ষে অন্ততঃ ২২ জন নারী- পুরুষ আহত হয়েছে।
এদের মধ্যে ১৭ জনকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়ছে। তম্মধ্যে গুরুতর আহত ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চাম্বল ইউনিয়নে সামাজিক বনানয়নের গাছ কাটতে বাধা দেয়ায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ৫ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে আতংক সৃষ্টি করেছিল। শেষে বন্দুকের বাট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে চাম্বল ইউনিয়ন বন বিভাগের বিএসএফ ফেডারেশন সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম তোতার চাচা মঞ্জুর হোসেন(৫৮)’র।
গত কয়েকদিন ধরে প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যাপক হারে সামাজিক বনানয়নের গাছ কেটে চলছে। শেখেরখীলের মৌলভী দোকান নামক স্থানে দানু সিকদার ও মীর আহমদ গ্রুপের মধ্যে ১৫ কানি জমি নিয়ে বিরোধে দুই গ্রুপে ১৭ জন আহত হয়েছে।
পুঁইছড়ি ইউনিয়নের প্রেমবাজার নোয়া পাড়ায় চাষাবাদি জমির ক্ষেত গরু-ছাগলে খাওয়াকে কেন্দ্র করে কহিনুর বেগম নামের এক মহিলার লোহার রডের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে কুলসুমা আক্তার(১৪) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রী। জায়গা- জমির বিরোধের হামলায় আরও আহত হয়েছেন শীলকূপ ইউনিয়নে ২জন ও সরল ইউনিয়নে ১ জন।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের ডাক্তার শারমীন আক্তার জানিয়েছেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন সংঘর্ষের ঘটনায় ১৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এরা হচ্ছে মো. আমিনুল্লাহ(৪৫), হাজেরা বেগম(১৮), বুলবুল আক্তার(১৬), হাফছা বেগম(৬০), আনাড় কলি(৪০), আতিকুর রহমান(৩১), সিরাজুল ইসলাম(৪০), মিজানুর রহমান(৩০), মো. রিদোয়ান(৪০), মো. ছোটন (১৭), মরিয়ম বেগম(৪০), ইউনুছ আদনান(২৪), মঞ্জুর হোসেন(৫৮) ও কুলসুমা আক্তার (১৪)।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, হাসপাতালে আহতদের কয়েকজনকে দেখেছি। স্থানীয় বিরোধের কারণে সংঘর্ষের ঘটনাগুলো ঘটছে। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকাগুলো পুলিশি টহল রয়েছে।
/একুশে মিডিয়া!
0 মন্তব্যসমূহ