টেকনাফে গভীর রাতে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটের অগ্নিকান্ডে লেদা ইবনে আব্বাস মাদ্রাসার ছাত্রাবাস ও মাদ্রাসা মার্কেটসহ ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মাদ্রাসা পড়–য়া ২ জন ছাত্র আহত ও ছাত্রাবাসে অবস্থানরত ১৬ জন ছাত্রের বিছানা, পোষাক, কিতাব পুড়ে গেছে। এতে আনুমানিক দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
জানা যায়, ২৪ ফেব্রæয়ারী রাতের প্রথম প্রহর সোয়া ১২টায় উপজেলার হ্নীলা লেদা টাওয়ার সংলগ্ন বাজারে ইবনে আব্বাস মাদ্রাসা মার্কেটে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়। তা নিমিষেই ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন ঘুমে থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পূর্বেই ছাই হয়ে যায়। অগ্নি দূঘর্টনার খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক কৃতি রঞ্জন বড়–য়ার নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। অসাবধানতাবশতঃ কারেন্ট সংযোগ থাকা বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি থেকে আগুনের সুত্রপাত বলে জানা গেছে। এতে মাদ্রাসা মার্কেটের ১২টি বিভিন্ন দোকান, ১টি ছাত্রাবাস, ১টি গ্যারেজ, লেট্রিন, মসজিদের জানালার কাঁচ, পানির লাইন, আলী আহমদ ও নজির আহমদর ৫টি দোকানসহ মোট ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই যায়। এতে আনুমানিক দুই কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন।
আহত ছাত্ররা হলেন জমাতে হাপ্তমের মোঃ ফেরদাউস (২০) ও জমাতে দহুমের মোঃ নু’মান (১৫)। ফেরদাউসের হাত এবং নুমানের পা পুড়ে গেছে। তাছাড়া ছাত্রাবাসে অবস্থান রত শিক্ষার্থী জমাতে হাপ্তুমের মোঃ ফেরদাউস, নহুমের এনায়তুল্লাহ, আবদুর রহিম, দহুমের হিফজুর রহমান, হামিদ হোসেন, রিয়াজুল করিম, নুমান, নুরুল মোস্তফা, ইয়াজ দহুমের নুরুল্লাহ বুরহান, আবদুর রহিম, আবদুল খালেক, ইমাম হোসেন, রাশেদ, আরাফাত ও মিজানুর রহমানের বিছানা, পোষাক, কিতাব পুড়ে গেছে। মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা পরিচালক (মুহতমিম) আলহাজ¦ মাওঃ ক্বারী শাকের আহমদ জানান, খবর পেয়ে ২৪ ফেব্রæয়ারী সকালে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের ত্রাণ শাখার কর্মকর্তা ও সেনা বাহিনীর কর্মকর্তা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।
/টেকনাফ নিউজ!
0 মন্তব্যসমূহ