সারা দেশের প্রায় সকল পাসপোর্ট অফিস আকণ্ঠ ডুবে আছে দুর্নীতিতে। অনেক
কর্মকর্তাই দিনের পর দিন অফিসে অনুপস্থিত থাকলেও পাসপোর্ট অফিস মুখরিত থাকে
দালালদের পদচারনায়। এমনই চিত্র পাওয়া গেছে বৃহস্পতিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) ৭ জেলায় একযোগে দুদকের চালানো অভিযানে।
দুদকের
উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, পাসপোর্ট অফিস ঘিরে ঘুষ-দুর্নীতির
মাধ্যমে দালালরা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সিন্ডিকেট তৈরি করেছে, দুদকের
অভিযোগ কেন্দ্রে আসা এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার একযোগে
দিনাজপুর, বরিশাল, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, সিলেট, মেহেরপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলার
পাসপোর্ট অফিসে আকস্মিক অভিযান চালিয়েছে দুদক।
দুদক এনফোর্সমেন্ট
ইউনিটের প্রধান মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী গণমাধ্যমকে
বলেন, পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতি ও হয়রানি বন্ধে দুদকের এ অভিযান। দুর্নীতির
প্রমাণের ভিত্তিতে দুদক সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
অভিযানকালে
মেহেরপুর, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা ও দিনাজপুরে মোট ৪ জন দালালকে হাতেনাতে
গ্রেফতার করে দুদক টিম। দালালদের সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ
আদালতের কাছে সোপর্দ করা হয়। তাদের জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড
দেওয়া হয়েছে।
অভিযান পরিচালনাকালে দেখা যায়, পাসপোর্ট প্রতি অতিরিক্ত
অর্থ আদায় হচ্ছে ১৫শ’ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। এসব ভোগান্তিকে নিয়তি
মানছেন সেবাপ্রত্যাশীরা। ঘুষ না দিলে ইচ্ছাকৃতভাবে পাসপোর্টে বিভিন্ন ধরনের
ত্রুটির সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি পাসপোর্ট অফিসের
কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশ করে দালাল চক্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে।
এছাড়া পাসপোর্ট অফিসে পুলিশ সদস্যরাও দালাল সেজে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে বলে প্রমাণ পায় দুদক টিম।
/জনকন্ঠ!
0 মন্তব্যসমূহ