শেরপুর সদর উপজেলায় সৎবাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মামলা হলে আজ সোমবার সৎবাবা ফজল হককে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এই ঘটনায় মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে মেয়েটির মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর মেয়েটির মা ফজল হককে বিয়ে করেন। গত শুক্রবার মেয়েটি তাঁর সৎ বাবার বাড়িতে যায়। পারিবারিক কলহের জেরে রোববার রাতে ফজল মেয়েটির মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর সোমবার ভোরে ফজল অস্ত্রের মুখে তাঁর মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে এবং ফজলকে আটক করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ফজলকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
মেয়ের মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফজল হকের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। শেরপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সরকার হাসান শাহরিয়ার আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারায় মেয়েটির জবানবন্দি নেন। পরে একই আদালতে ১৬৪ ধারায় গ্রেপ্তার হওয়া ফজল হকও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
0 মন্তব্যসমূহ