জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের পদত্যাগ এবং স্বাধীনতার বিরোধিতার জন্য জামায়াতকে ক্ষমা চাওয়ার তার আহ্বানে নিজের ‘ভুল ভেঙেছে’ উল্লেখ করে সংগঠনটি থেকে পদত্যাগ করেছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার এক নেতা।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) খানসামা উপজেলা জামায়াতের আমির বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দল থেকে পদত্যাগ করেন ভেড়ভেড়ী ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ। পদত্যাগপত্রের অনুলিপি দলটির জেলা ও উপজেলার আমির, ভেড়ভেড়ী ইউনিয়ন সভাপতি ও খানসামা উপজেলা প্রেসক্লাবে দেওয়া হয়েছে।
পদত্যাগপত্রে ওই জামায়াত নেতা উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার অনেক বছর পরে জন্ম হওয়ায় দলটির বিষয়ে অস্পষ্টতা ছিল। কিন্তু ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের পদত্যাগে প্রতীয়মান হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতা বিরোধী দল। তাই দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে ভুল ভেঙেছে।
পদত্যাগপত্রে তিনি জামায়াতকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।
পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি বখতিয়ার উদ্দিন (পল্লী চিকিৎসক), পিতা-মৃত: তফিল উদ্দিন সরকার, মাতা-মৃত: আমিনা খাতুন, গ্রাম-সহজপুর, ডাক ও উপজেলা-খানসামা, জেলা দিনাজপুর। জন্ম তারিখ ০১/০৫/১৯৭৭। আমি গত ১৯৯০ ইং সালে বাাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করি। ১৯৭১ এর অনেক পরে আমার জন্ম হওয়ায় স্বাধীনতার সময় জামায়াতের ভূমিকার বিষয়ে অস্পষ্টতা ছিল। কিন্তু গত ১৫/২/২০১৯ ইং তারিখে জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের পদত্যাগপত্র সংবাদ মাধ্যমে দেখে প্রতীয়মান হয় যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১-এ সরাসরি স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। তিনি স্বাধীনতার বিরোধিতার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। তার এই বক্তব্যে আমার এত দিনের ভুল ভেঙে যায় এবং বিশ্বাস হয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার বিরোধী দল। তাই আমি স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে কোনোভাবেই এই দলের সঙ্গে সংযুক্ত থাাকতে পারি না। ’
এ বিষয়ে জামায়াত নেতা বখতিয়ার উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘ডাকযোগে পদত্যাগপত্র দায়িত্বশীলদের কাছে পাঠিয়েছি।’
তবে উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল্লাহ আল কাফি পদত্যাগপত্রটি হাতে পাননি জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি।’
/বাংলা ট্রিবিউন!
0 মন্তব্যসমূহ