কর্ণফুলী নদীর মাঝিরঘাট এলাকায় আজ মঙ্গলবার ১৫টি বড় স্থাপনা উচ্ছেদ করা
হয়েছে। নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের দ্বিতীয় দিনে আজ সকাল সাড়ে নয়টা থেকে
অভিযান শুরু হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুই নির্বাহী হাকিম তাহমিলুর রহমান ও মো.
তৌহিদুল ইসলাম। তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দ্বিতীয় দিনে আজ ১৫
স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে আড়াই একরের বেশি নদীর জায়গা উদ্ধার করা হয়।
উচ্ছেদ করা স্থাপনার মধ্যে সার, চাল, চিনি, লবণসহ বিভিন্ন পণ্যের গুদাম
রয়েছে। এগুলো বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে গতকাল সোমবার
উচ্ছেদের প্রথম দিনে অর্ধ শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পাশাপাশি
স্বেচ্ছায় সরিয়ে নেওয়া হয় আরও অন্তত ২০টি স্থাপনা। প্রথম দিন উদ্ধার করা
গেছে চার একর ভূমি। কয়েকটি ধাপে উচ্ছেদ কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন জেলা
প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদের এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে কর্ণফুলী নদীর
পাড়ে ২ হাজার ১২২টি অবৈধ স্থাপনার তালিকা করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন
হাইকোর্টে জমা দেন। এরপরের বছর হাইকোর্ট স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের নির্দেশ দেন।
সর্বশেষ গত বছর হাইকোর্ট আদালত অবমাননার রুল নিশি জারি করেন। এরপর উচ্ছেদ
কার্যক্রম শুরু করা হয়।
/প্রথম আলো!
0 মন্তব্যসমূহ