মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমানঃ
নাম তান্নি চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানার তরুনী। জীবনের গল্প অনেক শুনেছি,অনেক দেখেছি,কোনটা হাসির খোরাক আবার কোনটা বেদনাময়, কিছু আছে উৎসাহের চাবিকাঠি। হ্যাঁ,তেমনি একটি উৎসাহের নাম তান্নি চৌধুরী। পঙ্গুত্ব বরণকারী তরুনী নিজেকে কখনো মনে করেনি অসহায় হিসেবে। সব সময় নিজেকে প্রস্তুত করেছে সমাজের দশজন মানুষের মতো করে তৈরী করতে। তিনি পেরেছেনও বটে বইমেলায় নিয়ে এসেছেন "কয়েকটি অসমাপ্ত গল্প" নামে একটি গল্পের বই। আগেও "অক্ষরের মিছিল" নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন মনের জোর সবচেয়ে বড় জোর। চাইলে তিনি অন্য দশজনের মতো হতে পারতেন কিন্তু না আল্লাহ্ সহায় এবং নিজের প্রচেষ্টায় নিজেকে পরিচয় করিয়ে যাচ্ছেন সবার মাঝে। হয়ত'বা স্টিফেন হকিং হতে পারবে না কিন্তু উনার লেখনীর মাধ্যমে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে হকিংয়ের মতোই নামটা ফুটে উঠুক এই কামনা করি। চট্টগ্রাম বইমেলায় শুধু নয় সামনে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে যাক।তান্নি চৌধুরীর উৎসাহে উজ্জীবিত হোক হা,পা ওয়ালা অকর্মঠ পঙ্গুরা। তার সৃষ্টিকে দেখে শিক্ষা নিক জাতি। সেই তরুনী যার কথা বললাম উনার সাথে দেখা হয়ে গেলো একুশ তারিখের চট্টগ্রাম বইমেলায় 'সাহিত্য রস' প্রকাশনীর ষ্টলে-- তরুণ কবি রওশন আলী সরকার,কবি নুরনবী হীরা,সাংবাদিক মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান এবং ইমাম হোসাইন। বই নিলাম একটি করে অটোগ্রাফ দিয়ে দিলেন সবাইকে। হাস্যজ্জ্বল মুখে কথা বলতে বলতে উনি কাজ করে যাচ্ছিলেন। নিজের পঙ্গুত্ব নিয়ে মোটেও বিচলিত নন। স্মৃতির এ্যালবামে বেঁধে রাখতে উনাকে সহ ছবি উঠিয়ে বিদায় নিলাম। বিদায় ক্ষণে উনি সকলের কাছে দোয়া চাইলেন, আমাদেরকেও ভালো থাকার দোয়া করলেন। সবাই উনার সাথে কথা বলে একটি কথাই শেষমেষ খুঁজে পেলাম "আর কিছু হোক বা না হোক বইটা যখনই চোখের সামনে পড়বে,হাতে ধরবো নিজেকে ভীরু মনে হবে না। মনোবল বেড়ে যাবে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থেকেও পঙ্গুর মতো বসবাস করার ঘোর কেটে যাবে। "
সকলের উচিত হবে এমন প্রতিভাকে টিকিয়ে রাখার জন্য একটি হলেও বই ক্রয় করা। সবার কাছে এই লড়াকু সৈনিকের গল্প বলা।
"ভালো থাকুক তান্নি চৌধুরী মানবের মাঝে চীরদিন।" সকলে দোয়া করবেন উনার জন্য। আল্লাহ্ সহায়।
0 মন্তব্যসমূহ