সম্প্রতি শেষ হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই ঢাকা সিটি করপোরেশন
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে চান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল
হুদা।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার দুই সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিমদের
নির্বাচন নিয়ে ব্রিফিং করতে গিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা চাই আপনাদের পরিচালনায়
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে, যেমনটি হয়েছে জাতীয় সংসদ
নির্বাচনে।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে এই ব্রিফিং হয়। ইসি সচিবালয়ের সচিব
হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে চার নির্বাচন কমিশনার
উপস্থিত ছিলেন।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা পরিশ্রম
করেছেন, দক্ষতা দেখিয়েছেন এবং একটি সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন জাতির জন্য
উপহার দিয়েছেন। এ জন্য আপনাদের মাধ্যমে আপনাদের যত সহকর্মী আছেন, তাঁদের
প্রতি অভিনন্দন থাকল।’
সংসদ নির্বাচনে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি জোট মাত্র আটটি আসনে জয় পেয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৫৭টি আসন। ২২টি আসনে জয় পেয়ে জাতীয় পার্টি এখন সংসদের প্রধান বিরোধী দল। বিএনপি এই নির্বাচনের ফল বর্জন করে সংসদে যোগ দেওয়া থেকে বিরত আছে।
সংসদ নির্বাচনে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি জোট মাত্র আটটি আসনে জয় পেয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৫৭টি আসন। ২২টি আসনে জয় পেয়ে জাতীয় পার্টি এখন সংসদের প্রধান বিরোধী দল। বিএনপি এই নির্বাচনের ফল বর্জন করে সংসদে যোগ দেওয়া থেকে বিরত আছে।
সংসদ নির্বাচনের পরপরই ইসি ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং
উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ১৮টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য সাধারণ
নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আজ ইটিআইতে
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিমদের উদ্দেশে কথা বলেন সিইসি।
কর্মকর্তাদের সতর্কভাবে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দিয়ে সিইসি বলেন,
‘নির্বাচনে কে জয়ী হলো, সেটা আপনাদের দেখার বিষয় নয়। আপনাদের বিষয় হলো
আচরণবিধি তারা কীভাবে পালন করে, সেটা দেখা। জনগণ যাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত
করবেন, তিনিই হবেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আইনানুগ নির্বাচন করতে হবে।
আপনাদের প্রতি মানুষের আস্থা। সুতরাং আস্থার প্রতিদান দিতে হবে।’
সিইসি বলেন, ‘সমস্যা হয় কাউন্সিলরদের নিয়ে। তাঁদের মধ্যে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্ষেত্রবিশেষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে ভূমিকা রাখে। তবে আপনাদের ক্ষিপ্রতা, নিরপেক্ষতা ও বিচারিক মনোভাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। আমি দেখেছি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় কোনো কোনো জায়গায় ম্যাজিস্ট্রেটরা গিয়ে কোনো কোনো প্রার্থীকে জরিমানা করেছেন। এতে কেউই প্রতিবাদ করেনি। সুতরাং, অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, তাদের জরিমানা করতে হবে, যাতে সে ভবিষ্যতে আর কখনো অপরাধ না করে।’
সিইসি বলেন, ‘সমস্যা হয় কাউন্সিলরদের নিয়ে। তাঁদের মধ্যে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্ষেত্রবিশেষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে ভূমিকা রাখে। তবে আপনাদের ক্ষিপ্রতা, নিরপেক্ষতা ও বিচারিক মনোভাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। আমি দেখেছি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় কোনো কোনো জায়গায় ম্যাজিস্ট্রেটরা গিয়ে কোনো কোনো প্রার্থীকে জরিমানা করেছেন। এতে কেউই প্রতিবাদ করেনি। সুতরাং, অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, তাদের জরিমানা করতে হবে, যাতে সে ভবিষ্যতে আর কখনো অপরাধ না করে।’
/প্রথম আলো!
0 মন্তব্যসমূহ