চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিনামবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজের জরুরি অবতরণের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ কমান্ডো টিম।
এখন বিমানটিতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
এর আগে বিকালে বিমান ছিনতাই করার চেষ্টার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করে শাহ আমানত বিমানবন্দরে।
তখন সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ কমান্ডো টিম বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্ব নেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ, র্যাব ও এপিবিএনের দুই শতাধিক সদস্য রয়েছেন। এছাড়া, সেনাবাহিনীর ওই কমান্ডো টিমে প্রায় ৫০ জন সদস্য রয়েছেন। তারা ওই উড়োজাহাজে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এর আগে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর পরই যাত্রীবেশে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা বিমানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে এবং চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করায়।
প্রত্যক্ষদর্শী এক যাত্রী জানান, অস্ত্র হাতে এক দুর্বৃত্ত ককপিটে ঢুকতে চাইলে পাইলটরা তাতে বাধা দেন। এ সময় একটি গুলির আওয়াজও তারা শুনতে পান। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি নিজের বুকে বোমা বাঁধা আছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে চান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল এভিয়েশন সচিব মহিবুল হক বলেন, বিমানের ভেতরে এখনো দুজন ক্রু ও সন্দেহভাজন রয়েছেন।তবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
/সিটিজি টাইমস!
0 মন্তব্যসমূহ