ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ |
বি,এন ডেস্কঃ
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন ও দুই সিটির সম্প্রসারিত ৩৬টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের ভোটগ্রহণ আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এরইমধ্যে প্রচারণা শেষ করেছেন প্রার্থীরা। এখন অপেক্ষা শুধু জনগণের রায়ের।
এদিকে আইনী জটিলতায় দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা স্থানীয় সরকারের অন্যতম এই প্রতিষ্ঠানটির ভোটকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ব্যালট পেপারসহ সব ধরনের নির্বাচনী সামগ্রী আজ মধ্যরাতের আগেই ভোটকেন্দ্রে পৌঁছাবে। এরইমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থানকারী বহিরাগতদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোটরসাইকেল ব্যবহার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বুধবার রাত থেকে বন্ধ থাকবে বাস, ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন। অনিয়ম ঠেকানো ও ভোটকে নির্বিঘ্ন করতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতয়েন করা হয়েছে।এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ইসির পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার সবই করা হয়েছে। নির্বাচনে যে কোন ধরনের সহিংসতা ও অনিয়ম বন্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের আড়াই বছর পর ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক লন্ডনে মারা যান। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। অন্যদিকে দুই সিটিতে ২০১৭ সালে ১৮টি করে ৩৬টি নতুন ওয়ার্ড যুক্ত হয়। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে নির্ধারিত সময়ের এক বছর পর গত ২২ জানুয়ারি দুই সিটির তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসি মেয়র ও দুই সিটির ১৮টি করে ৩৬টি ওয়ার্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: দুই সিটির নির্বাচনকে ঘিরে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুই সিটিতে টহল শুরু করেছে ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আইনশূঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার, বিজিবি, কোষ্ট গার্ড ও র্যাব দায়িত্ব পালন করবে। ডিএনসিসিতে ২৫ প্লাটুন বিজিবি এবং ডিএসসিসিতে ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও, দুই সিটির মধ্যে ডিএনসিসিতে চার প্লাটুন এবং ডিএসসিসিতে তিন প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।এবার দুই সিটির প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৩ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এর মধ্যে প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ৪ জন অস্ত্রধারী পুলিশ, ৩ জন অস্ত্রধারী আনসার এবং ১২ জন আনসার সদস্য থাকবে লাঠি হাতে।
অন্যদিকে, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৩ জনের মধ্যে ৬ জন অস্ত্রধারী পুলিশ, ৫ জন অস্ত্রধারী আনসার এবং ১২ জন আনসার সদস্য লাঠি হাতে অবস্থান করবে। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সেও সদস্যরা ভোটের দুইদিন আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরের দিনসহ মোট চার দিন মাঠে থাকছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র্যাব, পুলিশ ও কয়েক প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবে।
যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা: নির্বাচন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী এলাকায় কমিশনের অনুমোদিত স্টিকার বিহীন মোটরসাইকেল চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়াও ২৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে, প্রধান সড়কে (হাইওয়ে) গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এছাড়াও ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও ডাক বিভাগের গাড়ি এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে। ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে।
ডেইলি বাংলাদেশ/এস
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন ও দুই সিটির সম্প্রসারিত ৩৬টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের ভোটগ্রহণ আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এরইমধ্যে প্রচারণা শেষ করেছেন প্রার্থীরা। এখন অপেক্ষা শুধু জনগণের রায়ের।
এদিকে আইনী জটিলতায় দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা স্থানীয় সরকারের অন্যতম এই প্রতিষ্ঠানটির ভোটকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ব্যালট পেপারসহ সব ধরনের নির্বাচনী সামগ্রী আজ মধ্যরাতের আগেই ভোটকেন্দ্রে পৌঁছাবে। এরইমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থানকারী বহিরাগতদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোটরসাইকেল ব্যবহার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বুধবার রাত থেকে বন্ধ থাকবে বাস, ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন। অনিয়ম ঠেকানো ও ভোটকে নির্বিঘ্ন করতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতয়েন করা হয়েছে।এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ইসির পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার সবই করা হয়েছে। নির্বাচনে যে কোন ধরনের সহিংসতা ও অনিয়ম বন্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের আড়াই বছর পর ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক লন্ডনে মারা যান। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। অন্যদিকে দুই সিটিতে ২০১৭ সালে ১৮টি করে ৩৬টি নতুন ওয়ার্ড যুক্ত হয়। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে নির্ধারিত সময়ের এক বছর পর গত ২২ জানুয়ারি দুই সিটির তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসি মেয়র ও দুই সিটির ১৮টি করে ৩৬টি ওয়ার্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: দুই সিটির নির্বাচনকে ঘিরে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুই সিটিতে টহল শুরু করেছে ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আইনশূঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার, বিজিবি, কোষ্ট গার্ড ও র্যাব দায়িত্ব পালন করবে। ডিএনসিসিতে ২৫ প্লাটুন বিজিবি এবং ডিএসসিসিতে ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও, দুই সিটির মধ্যে ডিএনসিসিতে চার প্লাটুন এবং ডিএসসিসিতে তিন প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।এবার দুই সিটির প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৩ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এর মধ্যে প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ৪ জন অস্ত্রধারী পুলিশ, ৩ জন অস্ত্রধারী আনসার এবং ১২ জন আনসার সদস্য থাকবে লাঠি হাতে।
অন্যদিকে, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৩ জনের মধ্যে ৬ জন অস্ত্রধারী পুলিশ, ৫ জন অস্ত্রধারী আনসার এবং ১২ জন আনসার সদস্য লাঠি হাতে অবস্থান করবে। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সেও সদস্যরা ভোটের দুইদিন আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরের দিনসহ মোট চার দিন মাঠে থাকছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র্যাব, পুলিশ ও কয়েক প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবে।
যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা: নির্বাচন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী এলাকায় কমিশনের অনুমোদিত স্টিকার বিহীন মোটরসাইকেল চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়াও ২৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে, প্রধান সড়কে (হাইওয়ে) গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এছাড়াও ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও ডাক বিভাগের গাড়ি এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে। ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে।
ডেইলি বাংলাদেশ/এস
0 মন্তব্যসমূহ