মেয়ের জামাইকে ১০ লাখ থাই বাথ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আরনন রদথং। এই অর্থ ৩ লাখ মার্কিন ডলারের সমান। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। মেয়েকে একটা ভালো ছেলের কাছে বিয়ে দিতে চান আরনন রদথং। তাই তিনি এই ঘোষণা দিয়েছেন তার ২৬ বছর বয়সী মেয়ে যে ছেলেকেই বিয়ে করবে তাকে তিনি এই অর্থ দেবেন। থাইল্যান্ডের নাগরিক আরনন রদথং ৫৮ বছর বয়সী একজন কোটিপতি। তিনি মূল্যবান দুরিয়ান ফলের একটি ফার্মের মালিক। দক্ষিণাঞ্চলীয় থাইল্যান্ডের চুমফন প্রদেশে তার ফলের বাগানটি অবস্থিত। মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হওয়া ছেলের জন্য আরনন রদথং অবশ্য বিশেষ তেমন কোনো যোগ্যতার কথা বলেননি।
তিনি বলেছেন, যে ছেলে তার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইবে, তাকে অবশ্যই পরিশ্রমী এবং তার মেয়েকে সুখে রাখতে হবে। ছেলে সন্তানসহ রদথংয়ের আরো কয়েকজন সন্তান আছে। কিন্তু তিনি বলেছেন, তার সব সম্পদ কেবল কার্নসিতার ভবিষ্যত্ স্বামীকেই দেবেন। রথদং তার মেয়ের ভবিষ্যত্ জামাইকে সুবিশাল দুরিয়ান ফলের বাগানের মালিকানাও লিখে দেবেন। তার ফলের বাগানটি থাইল্যান্ডের ওই অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং এর বাজার মূল্য কয়েক মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড।
থাইল্যান্ডের বেশ কিছু এলাকার ঐতিহ্যই এমন যে, বিয়ের সময় বরপক্ষ কনে পক্ষকে সাধ্যমতো যৌতুক দিয়ে থাকে। রদথং বলেন, তিনি এ প্রথা ভাঙতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন, আমি চাই কেউ কঠোর পরিশ্রম করে আমার ব্যবসার হাল ধরুক এবং এটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাক। যে ছেলে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইবে, আমি মনে করি না তাকে স্নাতক বা মাস্টার ডিগ্রি সম্পন্ন ব্যক্তি হতে হবে। তার ২৬ বছর বয়সী মেয়ের নাম কার্নসিতা। মেয়ে কার্নসিতা ব্যবসা সামলাতে বাবাকে সাহায্য করেন। কার্নসিতা ইংরেজি ও চীনা ভাষায় অনর্গল কখা বলতে পারেন। তিনি একজন কুমারী এবং তার কখনোই বয়ফ্রেন্ড বা প্রেমিক ছিল না। কার্নসিতা বলছেন, বাবার এ ঘোষণা আমাকে বিস্মিত করেছে। এটা সত্য যে, আমি এখনো সিঙ্গেল। যদি কাউকে বিয়ে করতেই হয়, তবে আমি এমন ছেলেকেই বিয়ে করতে চাইব- যে হবে খুবই পরিশ্রমী, একজন ভালো মানুষ এবং সর্বোপরি সে নিজের পরিবারকে ভালোবাসবে।
/মানবকণ্ঠ/এসএস!
0 মন্তব্যসমূহ