টোকেন বাণিজ্যের অত্যাচার থামেনি বাঁশখালী সড়কে!

প্রতিকী ছবি
বাঁশখালী সড়কে টোকেন ছাড়া কোন যানবাহনই চলাচল করতে পারে না। বাঁশখালী থানা পুলিশ টোকেন না দিলেও জেলা ট্রাফিক পুলিশের নামে শ্রমিক নামধারী ব্যক্তিরা দালালের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক টোকেন বিক্রি শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হতে না হতেই মার্চ মাসের সড়কের অনুমতির জন্য বাঁশখালীর বিভিন্ন স্টেশনে দালালের মাধ্যমে টোকেন বিক্রি শুরু হয়েছে। এভাবে চলছে বাঁশখালী সড়কে টোকেন নৈরাজ্য। কলিম মিস্ত্রী নামক এক যুবককে বাঁশখালী থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদকালে এ ট্রাফিক পুলিশের টোকেন বিক্রি করবে না বলে অঙ্গীকার করেন। তবে আর এক নামের ডিজেল বিক্রেতার টোকেন বাণিজ্য থামেনি। এই টোকেন বন্ধের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে বার বার নির্দেশনা আসলেও কার্যত কোন ফলাফল পাচ্ছে না যানবাহনের মালিক ও শ্রমিক পক্ষ।
মালিক ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বাস, ট্রাক, মিনি ট্রাক, পিক আপ, মাইক্রো ও সিএনজি ট্যাক্সিসহ প্রায় ৮/১০ হাজার যানবাহন চলাচল করে থাকে। বাঁশখালী উপজেলা অতিক্রম করে চট্টগ্রাম শহর কিংবা অন্য যেকোন স্থানে বাঁশখালীর যেকোন যানবাহন অন্যত্র চলাচল করতে গেলেই মানতলি টোকেন সংগ্রহ করতে হয়। এই টোকেন না থাকলে পথের মধ্যে চালকের বিরুদ্ধে মামলা ঝুলিয়ে দেয় ট্রাফিক পুলিশ। এভাবে চলছে বাঁশখালী সড়কের যানবাহনগুলি।
বাঁশখালী সড়কের মাইক্রো চালক নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, গাড়ীর কাগজপত্র সঠিক থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে মামলা গুণতে হয়। এ জন্য মাসিক হিসাবে সার্জেন্ট থেকে ১২শ’ টাকায় মামলা কিনে নিই। এই মামলার কাগজ দিয়ে পুরো মাস চলে যায়। আবার ১ মাসের জন্য মামলার টোকেন স্লিপ নিতে হয়।
সিএনজি ট্যাক্সি চালক খালেক ও কাসেম বলেন, প্রতি মাসে টোকেন দিয়ে গাড়ি চলছে। আমাদের বাঁশখালীতে তেল বিক্রেতা আরিফ টোকেনগুলো সংগ্রহ করে দিয়ে থাকে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, বাঁশখালীতে কোন গাড়িতে থানা পুলিশের টোকেন নেই। অন্য কোথা থেকে টোকেন সংগ্রহ করে তা আমার জানাও নেই। কলিম মিস্ত্রি নামে এক টোকেন বিক্রেতাকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর টোকেন বিক্রির কথা স্বীকার করেছে। সে ভবিষ্যতে টোকেন বিক্রি করবে না বলেও জানিয়ে দেয়।
/পূর্বকোণ!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ