মোহাম্মদ এরশাদঃ
২৪ রানে জয়ী হলো শেখ জামাল
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ফাইনালে সন্ধ্যায় টসে জিতে প্রথমে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন শেখ জামালের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ওপেন করতে নামেন ফারদিন হাসান ও ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিজ্ঞ মুখ ইমতিয়াজ হোসেন তান্না। এই দুই ওপেনার ৬২ রানের উদ্ভোধনী জুটি গড়ে অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করেন। ২০ বলে ১৮ রান করা ফারদিনকে আউট করে জুটি ভাঙ্গেন মানিক খান।
৩০ বলে দোলেশ্বরের চাই ৭০ রান এরপর ব্যাট করতে এসে একদমই সুবিধা করতে পারেননি হাসানুজ্জামান ও অভিজ্ঞ নাসির হোসেন। ৩ বলে ৪ রান করেন হাসানুজ্জামান অন্যদিকে ৭ বলে ৫ রান করে বাউন্ডারিতে ক্যাচ আউট হোন নাসির। হঠাতই ছন্দ হারানো শেখ জামাল এরপর অধিনায়ক সোহান ও তান্নার ব্যাটে এগিয়ে যায়। এর মাঝে অর্ধশতক পূরণ করেন তান্না। দলীয় ৯৬ রানের মাথায় ৪৪ বলে ৫৬ রান করে আউট হোন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
এরপর আগের ম্যাচের নায়ক জিয়াউর রহমান মাত্র ২ রানেই সাজঘরে ফিরেন। শেখ জামালের বড় স্কোর গড়ার স্বপ্ন কিছুটা থমকে যায়। তবে শেষের দিকে তানবীর হায়দারের ঝড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে লড়াকু ১৫৭ রানের পুঁজি পায় শেখ জামাল। তানবীর ১৫ বলে ৩১ ও সোহান ২৭ বলে ৩৩ রান করেন। প্রাইম দোলেশ্বরের পক্ষে ৩২ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক ফরহাদ রেজা।
এদিকে ১৫৮ রানের মাঝারি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ধীরে শুরু করে প্রাইম দোলেশ্বরের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও মোহাম্মদ আরাফাত। প্রথম ৬ ওভারে আসে ৩৮ রান। পাওয়ার প্লে’তে দারুণ বোলিং করেন নাসির হোসেন। প্রথম ওভারে ২ রানের পর দ্বিতীয় ওভার করেন মেডেন। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর কিছুটা খোলস ছেড়ে এসে খেলা শুরু করেন দুই ওপেনার। নাসিরের করা শেষ ওভারে আসে ১৫ রান। এরপর ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন ওপেনার মোহাম্মদ আরাফাত।
খেলার এই বিরতিতে ভালো সূচনার ছন্দ হারিয়ে ফেলে প্রাইম দোলেশ্বর। ১৫ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারায় তারা। অন্যদিকে রানরেটে অনেক পিছিয়ে পড়ে। শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭০ রান। সেমি-ফাইনালের মতো ফাইনালেও ঝড় তোলেন প্রাইম দোলেশ্বরের অধিনায়ক ফরহাদ রেজা। একাই দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। তবে সেটা পর্যাপ্ত ছিল না।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৯ রান। কিন্তু শহিদুল ইসলামের করা প্রথম বলেই ক্যাচ আউট হয়ে যান ফরহাদ রেজা। সাথে সাথেই স্বপ্নভঙ্গ হয়ে যায় প্রাইম দোলেশ্বরের। মাত্র ২০ বলে ২ চার আর ৫ ছক্কায় ৪৫ রান করেন ফরহাদ রেজা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৩ রান তোলে প্রাইম দোলেশ্বর। ২৪ রানের জয় পায় নাসির-সোহানরা।
শেখ জামালের পক্ষে ১৯ রানে ৪টি উইকেট নেন পেসার শহিদুল ইসলাম। এছাড়া সালাউদ্দিন শাকিল ৪১ রানে দুইটি ও ৪ ওভারে মাত্র ১০ রানে একটি উইকেট পেয়েছেন লেগস্পিনার মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শেখ জামাল: ১৫৭/৭ (ইমতিয়াজ ৫৬, সোহান ৩৩, তানবীর ৩১, ফারদিন ১৮, নাসির ৫, ইলিয়াস সানী ৪*, হাসানুজ্জামান ৪, জিয়াউর রহমান ২; আরাফাত সানি ১/২৫, ফরহাদ রেজা ৩/৩২, মানিক খান ১/১২, সৈকত আলী ১/৩১, এনামুল হক জুনিয়র ১/৩০)
প্রাইম দোলেশ্বরঃ ১৩৩/৮ (২০ ওভার)
ফরহাদ রেজা ৪৫, আরাফাত ৩৩*, সাইফ ২৬; শহিদুল ৪/১৯, শাকিল ২/৪১, আফ্রিদি ১/১০
ফলাফলঃ শেখ জামাল ২৪ রানে জয়ী।
- হোম
- বাঁশখালী
- _পুকুরিয়া
- _সাধনপুর
- _খানখানাবাদ
- _বাহারছড়া
- _কালীপুর
- _বৈলছড়ি
- _কাথরিয়া
- _সরল
- _জলদী
- _গণ্ডামারা
- _শীলকূপ
- _চাম্বল
- _পুঁইছড়ি
- _ছনুয়া
- _শেখেরখীল
- কক্সবাজার
- _রামু
- _ঈদগাঁও
- _চকরিয়া
- _পেকুয়া
- _উখিয়া
- _টেকনাফ
- _কুতুবদিয়া
- _মহেশখালী
- চট্টগ্রাম
- _আনোয়ারা
- _বাঁশখালী
- _সাতকানিয়া
- _লোহাগাড়া
- _চন্দনাইশ
- _পটিয়া
- _কর্ণফুলী
- _সীতাকুন্ড
- _মীরসরাই
- _সন্দ্বীপ
- _বোয়ালখালী
- _হাটহাজারী
- _রাঙ্গুনিয়া
- _রাউজান
- _ফটিকছড়ি
- চট্টগ্রাম মহানগর
- _চান্দগাঁও
- _বন্দর
- _ডবলমুরিং
- _কোতোয়ালী
- _পাহাড়তলী
- _পাঁচলাইশ
- _বায়েজিদ বোস্তামী
- _পতেঙ্গা
- _হালিশহর
- _খুলশী
- _বাকলিয়া
- _কর্ণফুলি
- _চকবাজার
- _আকবর শাহ
- _সদরঘাট
- _ইপিজেড
- বাংলাদেশ
- _ঢাকা
- _চট্টগ্রাম
- _রাজশাহী
- _খুলনা
- _সিলেট
- _বরিশাল
- _রংপুর
- _ময়মনসিংহ
- জাতীয়
- রাজনীতি
- অর্থনীতি
- খেলাধুলা
- _ক্রিকেট
- _ফুটবল
- বিনোদন
- অন্যান্য
0 মন্তব্যসমূহ