নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সোহেল মিয়া (২৭) নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার টাওড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সোহেল মিয়া ভোলাব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক এবং ওই এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ও সোহেলের পরিবারের দাবি, পূর্বশত্রুতার জেরে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে সোহেল মিয়া ও তাঁর বন্ধু সিরাজ মিয়া উপজেলার টাওড়া বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় আদর্শ বিদ্যাপীঠের সামনে অস্ত্রধারী ১৫/২০ জনের একটি দল সোহেলকে পাশের একটি বিলের দিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও দুই পায়ের রগ কেটে ফেলে রেখে যায়। সোহেলের চিৎকারে লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোহেল মারা যান। পুলিশ আজ ভোরে অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করে।
সোহেলের বাবা মজিবুর রহমানের অভিযোগ, ভোলাব ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য শরীফ মিয়া ও তাঁর লোকজন পরিকল্পিতভাবে তাঁর ছেলেকে হত্যা করেছে। এর আগেও তাঁরা একাধিকবার সোহেলের ওপর হামলা চালায় বলে তাঁর অভিযোগ।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সোহেলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোহেলের বন্ধু সিরাজ, মুজিবুর, হাসান ও ইউসুফকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওসি আরও বলেন, দুই সপ্তাহ আগে সোহেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আগের ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা, সেটা তদন্ত করা হচ্ছে।
/প্রথম আলো!
0 মন্তব্যসমূহ