গত ১৬/০৩/১৯ সন্ধার সময় যাত্রী সেজে অজ্ঞাত এক যুবক বাঁশখালী উপজেলা হতে বানিগ্রাম পর্যন্ত চট্টগ্রাম- থ-১৩ জালিয়াঘাটা এন্টার-৪ (K-0438) লিখা গাড়ীটি ভাড়া নেয়। গাড়ি চিনতাকারীর গণতব্যে পৌঁছলে গাড়ীতে থাকা চিনতাইকারী ও ওঁত পেতে থাকা আরো দুইজন মিলে ড্রাইভার কে মুখ বেঁধে ফেলে। তারপর রাতের আঁধারে খালের পাশে খেজুর গাছের সাথে ড্রাইভার কে মারধর করে বেঁধে রেখে চিনতাইকারীরা সিএনজি টি নিয়ে পালিয়ে যায়। ড্রাইভার প্রাণে বেঁচে বাঁধা থেকে ছুটে গিয়ে তার অন্যসহপার্টি ড্রাইভার ও মালিক আবু তাহের কে ফোন করে গাড়ী চিন্তাই এর ঘটনা বললে কিছু সিএনজি ড্রাইভার ও মালিক আবু তাহের,তৌহিদুল সহ স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আনোয়ারা সরকার হাট এলাকায় স্প্রীট বেকারের মুখে গাড়িটি হাতে-নাতে উদ্ধার হয়। চিনতারীকারীদের একজন রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। দুই জনকে দৃত করে গাড়ীর মালিকের বাড়ী ৭নং সরল জালিয়াঘাটায় নিয়ে আসলে চিনতাই কারীরা উৎসুক জনতার গণপিটুনির শিকার হয়। উৎসুক জনতা চিনতাইকারীদের বেধম মারধর ও জখম ফুলা করে। স্থানীয় জালিয়াঘাটার ইউপি সদস্য আবুল কালাম বাঁশখালী থানায় সংবাদ দিলে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃকামাল হোসেনসহ এস আই মোঃ আব্দুল কুদ্দুস তার সঙ্গীয় ফোর্স পাঠালে গাড়ি চিনতাইকারী দৃত দুইজনকে গণপিটুনি থেকে আহত অবস্থায় থানায় নিয়ে এসে চিকিৎসার জন্য বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির ব্যবস্থা করে। এবিষয়ে গাড়ির ড্রাইভার শাহজাহান সিটিজি ক্রাইম টিভিকে বলেন, আমাকে যাত্রী সেজে জলদি উপজেলা থেকে বানীগ্রামের পশ্চিম দিকে গাড়ি ভাড়া নেয়। যেখানে কথা ছিল সেখানে গেলে আমাকে চুরি দেখায়ে মুখ বেঁধে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রাণে বেঁচে পালিয়ে এসে আমি অন্য ড্রাইভার ও মালিককে জানালে জনগণের সহযোগিতায় গাড়িটি হাতে-নাতে উদ্ধার হয়। চিনতাইকারী একজন পালিয়ে যায় ও এই চিনতাইকারী ২জন আটক হয। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দৃত দুই চিনতাইকারী সিএনজি চিনতাইকারী চক্রের অন্যতম সদস্য। এদের সাথে আরো গাড়ি চিন্তাইকারীও থাকবে। এবিষয়ে গাড়ির মালিক আবু তাহের বলেন, দৃত দুই জন গাড়ি ডাকাত। এদের বড় সেন্ডিকেট আছে। যত গাড়ি চুরি বা চিনতাই হয় সব এরাই করে। এদের রিমান্ডে দিলে সব তথ্য বের হয়ে আসবে। এদের কঠোরভাবে দমন না করলে অপরাধ দিনদিন আরো বাড়বে। এ বিষয়ে বাঁশখালী থানা পুলিশ এস আই মো; আবদুল কুদ্দুস বলেন, আমরা ১৬/৩/১৯ রাতে খবর পেয়ে জালিয়া ঘাটা থেকে গণপিটুনিতে আহত অবস্থায় রফিক-মাহবুব নামের দুই চিনতাইকারীকে থানায় এনে প্রশাসনের হেফাজতে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। দুই জনের বিরুদ্ধে গাড়ীর ড্রাইভার শাহজাহান বাদী হয়ে অদ্য ১৭/০২/২০১৯ তারিখে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ২১। চিনতাইকারী দুই আসামির পরিচয় ১/ রফিক (৩৪) পিতা মৃত কুইল্যা মিয়া বাড়ী আনোয়ারা থানার জুঁইদন্ডী ১১ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড়। ২/ মাহবুব (৩২) পিতা ছিদ্দিক আহমদ বাড়ী বাঁশখালী চাপাছড়ি ৪নং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড়। উল্লেখ্য রফিক-মাহবুব তারা দুজন আত্মীয়। রফিক মাহবুবের বউয়ের বড় ভাই (সম্বন্ধী)। এ বিষয়ে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করিলে তিনি সিটিজি ক্রাইম টিভিকে বলেন ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের তদন্ত চলছে। চিনতাইকৃত সিএনজি ড্রাইভার থানায় মামলা করেছে। সত্যতা যাচাই চলছে। সত্যতা যাচাই পূর্বক আরো চিনতাই চক্রের জড়িত পেলে দৃত চিনতাইকারীদেরকেসহ কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান।
/ক্রাইম নিউজ!
0 মন্তব্যসমূহ