বাঁশখালীর কাথারিয়া ইউনিয়নের মধ্যম কাথারিয়া গ্রামে গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টায় কাথারিয়া ছবদর আলী ফোরকানিয়া ও নুরানী মাদ্রাসার সভাপতির পদ দখল-বেদখল নিয়ে প্রকাশ্যে দুইপক্ষে গোলাগুলি ও সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। দুইপড়্গে প্রভাব বিসত্মার করতে অনত্মত ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। পরস্পর দা, কিরিচ, লোহার রড নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে বলে গ্রামবাসী জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিরোধ প্রকাশ্যে গোলাগুলিতে রূপ নেওয়ায় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় থমথমে পরিসি’তি বিরাজ করছে। দুপড়্গের সংঘর্ষে আহতরা হচ্ছে মোরশেদুল আলম (৩৫), একরামুল হক (২৫), শহীদুল আলম (৪০), সেলিমুল হক (১৮) ও মফজ্জল আহমদ (৫৮)।
ঘটনাস’লে বাঁশখালী থানার এসআই বিমল চন্দ্র দাশের নেতৃত্বে পরিসি’তি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, এলাকার মো. নুরম্নল ইসলামের পূর্বপুরম্নষরা নিজেদের সম্পত্তি দান করে কাথারিয়া ছবদর আলী ফোরকানিয়া ও নুরানী মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। নিজস্ব অর্থায়নে মাদ্রাসার পাশাপাশি হেফজখানা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসার ভূমিদাতা নুরম্নল ইসলামের পুত্র মো. রিয়াজুল ইসলাম জিসান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তারের কাছে সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ দেন, কয়েকমাস পূর্বে এলাকার ইবনে আমিন নামের এক ব্যক্তি মাদ্রাসার সভাপতির পদ দখলে নেন। এরপর থেকে মাদ্রাসার ভূমিদাতাদের পরিবারের কাউকে মাদ্রাসার আশেপাশে ভিড়তে দিচ্ছে না ইবনে আমিন ও তার দলবল। এ নিয়ে কয়েকদফা সালিশি বৈঠকও হয়। এর মধ্যে গতকাল দুপুরে নুরম্নল ইসলামের ছেলেরা বাড়ি যাবার পথেমধ্যে গতিরোধ করে দা, কিরিচ ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটাতে থাকে প্রতিপড়্গের লোকজন। এক পর্যায়ে দুপড়্গ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে প্রভাব বিসত্মার করতে বন্দুকের ফাঁকা গুলি ছুঁেড়।
ইবনে আমিন বলেন, মাদ্রাসাটি পরিচালনায় জটিলতা দেখা দেয়ায় গ্রামবাসীর অনুরোধে আমি সভাপতি হয়ে মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজ করছি। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে নুরম্নল ইসলামের ছেলেরা মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা করছে এবং মাদ্রাসার সম্পত্তি নিজেদের মত ব্যবহার করছে।
মো. রিয়াজুল ইসলাম জিসান বলেন, আমাদের পূর্বপুরম্নষরা সম্পত্তি দান করে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেই হিসেবে আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার সভাপতি। সভাপতির পদ কেড়ে নিয়ে ইবনে আমিন ঁ
আমাদের নানাভাবে লাঞ্ছিত ও হামলা করে আসছে।
কাথারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, প্রশাসনের উচিত বিষয়টি কঠোর হসেত্ম দমন করা। এভাবে চলতে থাকলে কেউ শিড়্গাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে এগিয়ে আসবে না।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, সংঘর্ষের পর পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পরিসি’তি শানত্ম। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস’া গ্রহণ করা হবে।
/সুপ্রভাত!
0 মন্তব্যসমূহ