প্রতিপক্ষের আগুনে বাঁশখালীতে মাদ্রাসাছাত্রী দ্বগ্ধ

বাঁশখালীর পূর্ব চাম্বল আযানি পাড়ায় গত সোমবার রাত ১১টায় বসতভিটার বিরোধের জেরে দুইটি ঘর ভস্মীভূত হয়। ওই আগুনে ঘুমন্ত অবস’ায় আয়শা সিদ্দিকা(৮) নামের দ্বিতীয় শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী দ্বগ্ধ হয়ে আশংকাজনক অবস’ায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। একই বিরোধে ছুরিকাহত হয়ে মো. আলমগীর (৪২) নামের এক ব্যক্তি বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।এ ঘটনায় মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে থানায় এজাহার দেন। এজাহার অনুসারে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী তাহের আহম্মদের সাথে ৮ শতক বসতভিটা নিয়ে জাহাঙ্গীর ও জাহাঙ্গীরের ভাই মো. আলমগীরের বিরোধ চলে আসছিল। গত সোমবার সকাল ৯টায় ওই বিরোধের জের ধরে তাহেরের ৩ সন্তান মিলে জাহাঙ্গীরের বড় ভাই মো. আলমগীর(৪২)কে ছুরিকাহত করে। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুজিবুল হককে জানিয়ে আহত ভাইকে বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা করেন। চেয়ারম্যান সাহেব পরের দিন (আজ মঙ্গলবার) মীমাংসা করে দেয়ার ব্যবস’া করেন। ওই মীমাংসার আগেই গত সোমবার রাত ১১টায় ঘুমন্ত থাকা অবস’ায় জাহাঙ্গীর ও তার ভাইয়ের ঘরে তারা আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে ঘুমন্ত অবস’ায় জাহাঙ্গীরের কন্যা স’ানীয় পাতলা মার্কেট নুরানি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী আয়শা সিদ্দিকা মারাত্মকভাবে আহত হয়। তাকে প্রথমে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ডাক্তার তাকে আশংকাজনক অবস’ায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অগ্নিকান্ডে জাহাঙ্গীর ও তার ভাইয়ের ঘর পুরে নগদ ৩ লাখ টাকাসহ ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুজিবুল হক বলেন,‘মো. আলমগীর সোমবার সকালে ছুরিকাহত হবার পর আমি বিষয়টি মঙ্গলবার মীমাংসা করে দেয়ার কথা বলেছিলাম। মীমাংসার আগে এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক।’ বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন,‘ এজাহারটি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস’া গ্রহণ করা হবে।’
/সুপ্রভাত!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ