চট্টগ্রাম বাশঁখালীতে জায়গা জমির বিরোধের জের ধরে কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের অতপর জামিনে মুক্তি সাংবাদিক মহিউদ্দিন সহ তার পরিবার। বাশঁখালী গন্ডামারা ইউনিয়ন পশ্চিম বড় ঘোনা ৪ নং
ওয়ার্ডের মৃত হাবিউল্লাহর ছেলে হেলাল উদ্দিনের (৩৮) সাথে নুর উদ্দিন (৪৮)ও আব্দুর রশিদ (২৫) এর দীর্ঘদিন জায়গা জমির বিরোধ চলে আসছিল ।কে এই হেলাল?শুন্য থেকে কোটি পতি বনে যাওয়া।
সরেজমিনে তদন্তে জানা যায় বিগত বছর তিনেক আগে চট্টগ্রাম স্থত সৃজনি সারাদিনের স্কুলের হোস্টেলের দায়িত্বের চাকুরী নিয়েছিল । ঐখানে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তাকে চাকুরীচ্যুত হতে হয় । ভাগ্য বদলে যায় এস আলম পাওয়ার প্ল্যানের দালালী করে। গ্রামের অসহায় সাধারণ মানুষকে ভয় ভীতি দেখিয়ে জায়গা জমি বিক্রয় করা এবং বিভিন্ন রকম ফ্রটবাজীর কৌশল অবলম্ভনে নামে বেনামে জায়গা জমি দখল দেখিয়ে ভূমি বানিজ্য শুরু করে বহু টাকার মালিক বনে যায় এই হেলাল ।
ভূমি নিয়ে কাজ করে বনে যায় ভূমি দস্যু কাজ কারবারী।নামে বেনামে দলিল, খতিয়ান তৈরী করে জায়গা বিক্রয় করা এবং মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা সহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই নিয়ে আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত (দক্ষিণ) চট্টগ্রাম মামলা দায়ের করেন ২০/৮/২০১৮ ইং তারিখ ।
আদালত বাশঁখালী থানার ওসি কে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা এবং ভূমি অফিসারকে কে দখলি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় । আদালতের আদেশ অমান্য করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তৎকালিন ওসি সালাউদ্দিন হিরা শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার বদৌলতে ঘর নির্মাণে সহায়তা করে তাকে । পরে ওসি কামাল হোসেনের হস্তক্ষেপে কিছুদিন কাজ বন্ধ রাখলেও পুনরায় কাজ করতে থাকে।পরে আদালত ঐ জায়গার নির্দিষ্ট দাগের উপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য ওসি ( বাশঁখালী) কে পুনরায় নির্দেশ দেন। ওসি কামাল হোসেন তার দায়িত্বের বাইরে গিয়ে জায়গা পরিমাপ করার জন্য উদ্দ্যোগ নেয়, তাতেও প্রমাণিত হয় তার জায়গা নেই।
পরে ওসি অবৈধ ভাবে নির্মিত জায়গাটি বিক্রয় করার প্রস্তাব দেন। কেন জায়গা বিক্রয় করতে হবে সে প্রশ্ন অধরা।পরে হেলাল উদ্দিন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল মোস্তফা সিকদার সংগ্রামের শরনাপন্ন হয় সে সালিশি বৈঠকে বিচারকার্য সম্পন্ন করার জন্য উভয় পক্ষকে ৩০০(তিনশত) টাকার স্টাম্পে বন্ডিং করে। তিনি ও জায়গা পরিমাপ করে দেখেন নির্মানাধীন ঘরটির জায়গা হেলালের নয় ।স্থাপনায় তার কোন জায়গা নাই বরং সাংবাদিক মহিউদ্দিনের পরিবার অপরাপর ওয়ারিশ গনের শত বছর দখলে থাকা জায়গা নামজারী করে আছে, এমতাবস্থায় সৃজিত ভুয়াঁ খতিয়ান নামজারী সংশোধনের কথা বলা হলে তা না করে সাংবাদিক মহিউদ্দিন সহ তার পরিবারকে হেনস্থ করার জন্য ভুঁয়া কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে পরিবারের ৫ জনকে আসামী করে বাশঁখালী থানায় গত ২৭/০২/২০১৯ তারিখ অহেতুক মিথ্যা মামলা দায়ের করে । এই নিয়ে বাশঁখালী থানা অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন থেকে জানতে চাওয়া হলে কোন ধরনে ইনভেষ্টিগেশন ছাড়া কিভাবে মামলা হয় তিনি সঠিক কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। মামলায় সংঘটিত ঘটনার সময় দেখানো হয়েছে ৫/১১/১৮ইং তারিখ তিন মাস ২২ দিন পর কেন মামলা হল তা জানতে চাইলে তারও কোন সঠিক ব্যাখ্যা তিনি দেননি।
সাংবাদিক মহিউদ্দিন কে কেন আসামী করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তার অজ্ঞতাবশত হয়েছে। এই হলো কাল্পনিক কাহিনীর গায়েবী মামলার শিকার সাংবাদিক পরিবার। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সাংবাদিক পরিবারকে পুনরায় হুমকি দিয়ে বলে টাকার জোরে সে বহুকিছু করতে পারে ভবিষ্যতে আরও মামলা করবে । এলাকাবাসী তার এহেন কর্মকান্ডের জন্য অতিষ্ঠ। সাংবাদিক মহিউদ্দিনের পরিবার বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে । প্রশাসনের সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের কর্তৃপক্ষের কাছে সাংবাদিক পরিবারের জোর দাবী আর কোন ধরনের গায়েবী মামলা কিংবা ষড়যন্ত্রের শিকার যেন তারা না হয়।
সৃত্র-dailyalokitosakal
0 মন্তব্যসমূহ