সরল প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নে ২ নং ওয়ার্ডে গত ২১ শে জুন শুক্রবার দুপুরে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে জাফর আহমদ ও খলিল আহমদ নামে দুই সহোদর ভাই নিহত হয়। র্যাবব ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী অস্ত্র আটটি দেশীয় অস্ত্র সহ অর্ধশতাধিক গুলি উদ্ধার করে। এ দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে খুশিতে এলাকায় মিষ্টি বিতরণের খবর পাওয়া গেলেও এলাকায় কালো ছায়া নেমে এসেছে যা দুই ভাইয়ের জানাযার নামাজ হাজারো মানুষের অশ্রুতে প্রমাণ পাই।
প্রসঙ্গত বলা যায়, গত ১৪ জুন শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় সন্ত্রাস নুর মোহাম্মদ গ্রুপের সাথে জাফর গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। ঐ দিনে নুর মোহাম্মদ গ্রুপের লোকজন প্রকাশ্যে অস্ত্র ও রামদা নিয়ে গুলি করতে দেখা যায়।যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। তখন থেকে প্রশাসনের নজর সরলের দিকে। বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, সরলের দিবালোকে প্রকাশ্যে অস্ত্রধারীদের আমরা চিহ্নিত করেছি এবং তাদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে বলে জানান।
২১ জুন শুক্রবার র্যাবের সাথে যে বন্ধুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে প্রকাশ্যে অস্ত্রধারীদের মধ্যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি কেন তার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন।
সরল ইউনিয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একব্যক্তি বলেন, সরলে নুর মোহাম্মদ গ্রুপ আর জাফর গ্রুপ আছে।জাফর গ্রুপ এখন নির্মূল হয়েছে,এখন শুধু দেখার অপেক্ষা কখন নুর মোহাম্মদ গ্রুপ নির্মূল হবে?কখন সরলের লোকজন এসব সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পাবে?কখন সরল তথা বাঁশখালী সন্ত্রাস মুক্ত হবে এমনটাই প্রশ্ন সরলবাসীর।
জাফর ও খলিলের পরিবার জানান, আজ আমরা বিধবা হয়ে গেছি।আমাদের সন্তানরা এতীম হয়ে গেছে। সরলে কারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করে জনগণ সাক্ষী আছে।আমাদের স্বামী আজ ষড়যন্ত্রের স্বীকার। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবী একটাই, সরলে প্রকাশ্যে অস্ত্রধারী নুর মোহাম্মদ গ্রুপের সদস্যদের যেন আইনের আওতায় আনা হয়। উল্লেখ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও টি ভাইরাল হয়, এ ভিডিওতে নুর মোহাম্মদ গ্রুপের সদস্য শের আলী,আব্দু শুক্কুর মফিজ ও জসিমকে অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে চেনা যাচ্ছে।তাদের কাউকে প্রশাসন গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
0 মন্তব্যসমূহ