মোহাম্মদ এরশাদঃ
জমে উঠেছে বাঁশখালীর গুনাগরীর রামদাশ মুন্সির হাটের ঈদ বাজার। ৫নং কালীপুর ইউনিয়নের গুনাগরী সকল মার্কেট গুলোতে সকাল থেকে সেহেরির আগ পর্যন্ত মার্কেট গুলোতে চলছে ক্রেতাদের আনাগোনা । দাম নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে বাজারে দেশী পোষাকের চাহিদা বেশি বলে জানান বিক্রেতারা। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততোই বাড়ছে বেচা-কেনা। বাঁশখালীর গুনাগরির বিভিন্ন মার্কেট গুলোতে চাকচিক্য আর আলোর ঝলকানিতে জমে উঠেছে ঈদের কেনা-বেচা। শেষ মুহুর্তে এসে মার্কেট গুলোতে পা ফেলারও জায়গা নেই। নিজেদের পছন্দমতো পোশাক কিনতে সবাই ছুটছেন। আর ঈদ কেনাকাটায় পুরুষদের পাশাপাশি মেয়েরা এগিয়ে আছেন।
ঈদ কেনাকাটায় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে গুনাগরী খাসমহলস্থ মার্কেট গুলো। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে কেনাকাটায় গ্রামের ক্রেতাদের আস্থা ও নির্ভরতা বজায় থাকে সারা বছরজুড়েই।কালীপুর ইউনিয়নের গুনাগরি প্রধান সড়কে এই মার্কেটগুলোকে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন লাইটিং এর মাধ্যমে । পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে ফুটপাতের দোকান গুলোকেও আকর্ষণীয় করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। রোজার ঈদের কেনাকাটার ভিড় জমতে থাকে রামদাশ হাট অবস্থানরত মার্কেট গুলোতে অন্তত একবার না আসলে কেনাকাটা অসম্পূর্ণ থেকে যায় ক্রেতাগনদের।
কী নেই এসব মার্কেটে? শাড়ি, কাপড়,থ্রি পিস, পাঞ্জাবি - প্যান্ট, শার্ট, কসমেটিক্স, জুতা, জুয়েলারি, কোকারাইজ, টয়লেট্রিজ সামগ্রী ,টেইলারিং,প্রসাধন সামগ্রী ও শোপিস সামগ্রী, তৈজসপত্রসহ গৃহস্থালি ব্যবহারের অন্য টুকিটাকি দ্রব্যাদিও। রূপমালায়,শপিং মল,আল-ওমান ক্লথ ষ্টোর, এশিয়া শাড়ী কালেশন, এশিয়া কালেকশন, এস এ ম শাড়ী কালেকশন এবং মাম্মী ফ্যাশন,গিয়ে জানা যায় এবছর ভারতীয় ড্রেসেরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। গ্রাম কিংবা শহুরে থাকা সব শ্রেণির তরুণীরা ভারতীয় পোশাক লেহেঙ্গা,লাছা, গাউন খুঁজছেন। এ বছর নারী পোশাকের মধ্যে থ্রি পিসের মূল্য সর্বনিম্ন ১২০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৬ হাজার টাকা।
আবার ছেলেদের পোশাক বিক্রিতেও কমতি নেই, শার্ট পেন্টের পাশাপাশি পাঞ্জাবী ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে । ইতিমধ্যে ছেলেদের পোশাকের মধ্যে পাঞ্জাবির চাহিদাই সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন
বৈশাখী ফ্যাশন, এশিয়ান টেইলার্স এন্ড ফেব্রুিক্স বিক্রেতা তিনি বলেন এই প্রতিষ্ঠানে বৈচিত্র্যময় সর্বনিম্ন ৬৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৫ পাঁচশত টাকা দামের পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে।
আনোয়ারা ও সাতকানিয়া থেকে আসা ক্রেতা গণ দের সাথে কথা বললে তারা জানান বাঁশখালীর গুনাগরী রামদাশ মুন্সির বাজারে শপিং করতে প্রতি বছরের মতো এই বছরও এসেছি এখানে মনোরম পরিবেশে ও চাহিদা মোতাবেক জিনিস পাওয়া যায় তাই আসি, কিন্তু এই বছর এসে দেখি নানানরকম ধরনের সমস্যা পড় তে হয়েছে, তবুও নিজের জন্য জামা, পেন্ট, মা বোনের জন্য শাড়ি সালোয়ার-কামিজ আর জুয়েলারি কেনার করার জন্য আসছি। কালেকশন বেশ ভাল। এই মার্কেট গুলোতে একই ছাদের নিছে সব ধরনের পোশাক ও কসমেটিক্স এর সমাহার। তাই আমরা পরিবার নিয়ে এখানো এখানে ছুটে আসি। পরে তাদের সাথে নিরাপত্তা নিয়ে কথা বললে তারা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা প্রতিবারের ন্যায় এবার নেই বললে চলে, কেমন সমস্যা তা জানতে চাইলে তারা জানান কিছু লোকেল পোলা ফাইন আছে দোকানে ডুকলে সেই দোকানে গিয়ে গিজাগিজি করে মেয়েদের গায়ে ধাক্কা খায় কিছু বললে চোখ রাগান্বিত করে বয় দেখায় বলে জানান। বিক্রিতা গণদের সাথে এই বিষয়ে জানতে চাইলে নাম না বলা সূত্রে তারাও জানান আসলে ক্রেতা গণের কথা
সত্যি। সুদু এটি করে তারা তেমেনেয় প্রতি দিন অহেতুক কোনা কোন কারণ দেখিয়ে দুর দুরান্ত থেকে আশা ক্রেতা গণ দের সাথে জগড়া লাগায় তাদের মার ধর করে,এই রিপোর্ট লিখা পযন্ত দুটি মারামারি ঘটেছে, স্থানীয় বিক্রেতা ও দুর দুরান্ত থেকে আশা ক্রেতা গণদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা জানান, শপিং করতে আশা লোক জনের সাথে স্থানীয় কিছু লোকেল ছেলেদের সাথে দোকানের বিতর কতা কাটাকাটির নিয়ে এই ঘটনা দুইটি সৃষ্টি হয়, বিক্রেতা গণ বলেন আমরা লক্ষ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে ব্যবসায় করতেছি প্রতি দিন যুদি এই রকম ক্রেতা গণদের সাথে সমস্যা করে, ক্রেতা গণ তাদের মা বোন দের নিয়ে এখানে আর শপিং করতে আসবেনা পরে আমাদের ব্যবসায় লোকসানের সমস্যায় পড়তে হবে, তাই আমরা সকল দোকান মালিক বৃন্দ বাঁশখালী প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি যাতে আর বাকী দিন গুলিতে জেনো আমরা ভালো পরিবেশ বজায় রেখে ব্যবসা করে যেতে পারি।
পরে আইন-শৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে রামদাশ হাট পুলিশ ফাঁড়ির (আইসি অফিসার) মোঃ মামুনের সাথে কথা বলে এই বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই বিষয় টি অতি বিলম্বে সমাধান করবে বলে জানান।
0 মন্তব্যসমূহ