মোহাম্মদ এরশাদঃ
চট্টগ্রামের পল্লী বিদ্যুৎত সমিতির-১ বাঁশখালী জোনাল অফিসের এর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ভুতুড়ে বিলের অভিযোগ উঠেছে। ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বাঁশখালী উপজেলার কয়েক হাজার গ্রাহক।
সম্প্রতি উপজেলার কয়েকটি এলাকায় এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ গ্রাহকদের তোপের মুখে পড়েন মিটাররিডার কাম ম্যাসেঞ্জার। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার কয়েকশ গ্রাহক ভুতুড়ে বিলের ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। গ্রাহকদের কাছে এপ্রিল ও জুন মাসে বিলের কাগজ পৌঁছালে ওই বিলের টাকার পরিমাণ দেখে গ্রাহকদের চোখ কপালে ওঠে। তারা ওই বিল দেখে বিস্মিত ও হতভম্ব হয়ে পড়েন। তারা দেখেন প্রত্যেকের বিদ্যুৎ বিলে বিগত মাসের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এছাড়াও মিটারের ইউনিটের সাথে উল্লেখিত বিলের ইউনিটের সাথে কোন মিল নেই। এতে করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ বাঁশখালী জোনাল অফিস এলাকার কয়েক হাজার গ্রাহক।
উপজেলার ৫নং কালীপুর ইউনিয়নের পুর্ব গুনাগরী গ্রামের মোঃ হাছান নামে পল্লী বিদ্যুতের এক গ্রাহক অভিযোগ করেন, তার হিসাব নং ০১-২৫৩-২৮০৫ জুন মাসে তার আবাসিক বিদ্যুৎ বিল ৭৭.০০ টাকা বিল আসে। এত বিল দেখে হতভম্ব হয়ে যান তিনি। অথচ পূর্বের মাস গুলোতে তার বিল আসতো ৭৭ টাকার মতো। এত ইউনিট ভুতে ব্যবহার করেছেন কিনা তিনি প্রশ্ন রাখেন।
একাই ইউনিয়নের পুর্ব গুনাগরী গ্রামের তাহেরা বেগম, মমতাজ বেগম, মোঃ নাছির নামে আরো দুই জন গ্রাহক অভিযোগ করেন, তাদের হিসাব নং ০১-২৫৩-২৮০৩,০১-২৫৩-২৬২০, ০১-২৫৩-৩৫৫৯ মে মাসে তার আবাসিক বিদ্যুৎ বিল ১০৯৫, ১০৯৫, ১২২৬ টাকা বিল আসে। তিনিও এত বিল দেখে হতভম্ব হয়ে যান,অথচ পূর্বের মাস গুলোতে তার বিল আসতো ৯৫, ১০০, ৭৯ টাকার মতো আসে, তাদের সাতে কথা বলতে তারা জানান মে মাসের বিলের কাগজ যখন বাসায় দিয়ে যাওয়া হয় বিলের টাকার পরিমান বেশি দেখে সকলে একসাথে বাঁশখালী উপজেলার জোনাল অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করি, অফিসে কর্মরত অফিসার দের সাথে কথা বললে তারা জানান, আপনারা একটি কাজ করেন মিটার চেক করতে যিনি আপনার এলাকায় যায় তাকে ধরে রেখে এই বিলের ব্যয়াপার টি টিক করে দিতে বলবেন, পরে জুন মাস যখন আসলো সেই মিটার চেকরা লোকটি পুর্ণরায় মিটার চেক করতে এলাকায় আসলে তাকে ডেকে জ্বিগেসা করলাম আমাদের মিটারের এতো বিল কি করে হলো আপনি এই কেমন মিটার চেক করলেন বলুন, তিনি কিছুক্ষণ কিছু না বলে চুপ থেকে, পরে গ্রাহকদেরকে বিভিন্ন ধরনের মার পেচ গুরিয়ে কথা বলেন গ্রাহণ দেরকে মে মাসের বিলের কাগজটি দিতে বলে গ্রাহক রা কি জন্য বললে তিনি জানান বিল তুলা ভুল হয়েছে তাই, আমাকে দিন কাগজটি আমি এই বিলের কাগজটি অফিসে নিয়ে গেলে সব বিল টিক করে দিবে, আমি মিটার চেক করেছি টিক মতো, কিছু দিন পর জুন মাসের মিটার চেক করতে আসার সময় যার বিল ১০৯৫, ১০৯৫, ১২২৬, টাকা তার কাছ থেকে ১৫০ ও ১০০ টাকা কমিয়ে দিয়ে আবার বিলের কাগজটি গ্রাহণ দের হাতে দিতে গিয়ে বলেন বিল কমিয়ে দেয়া হয়েছে বলে গ্রাহক দের হাতে দিয়ে চলে গেলেন বলে জানান, গ্রাহকরা আরো জানান এভাবে যদি ভুতুড়ে বিলের মাধ্যমে আমাদের হয়রানি করা হয় তাহলে আমরা সাধারণ গ্রাহকের কোথায় যাব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, এক মাসে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা না করা হলে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা বাড়িতে গিয়ে লাইন কেটে দেয়ার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের এই ভুতুড়ে বিলের কোনো সমাধান পাই না সাধারণ গ্রাহকেরা। এর প্রতিকার কবে হবে। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ বাঁশখালী জোনাল অফিসে ফোন করলে জরুরি বিভাগের কর্মরত ইমরান নামে একজন ফোন রিসিভ করলে তার কাছ থেকে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান আমাদের অফিসে এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা জানা নেই, গ্রাহক গণ যদি এই বিষয়ে অভিযোগ করে তাহলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
0 মন্তব্যসমূহ