মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিনঃ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। আগামী ২০ জুলাইয়ের পর ধাপে ধাপে এসব বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে বহিষ্কারাদেশের চিঠি পাঠানো হবে কেন্দ্র থেকে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। আগামী ২০ জুলাইয়ের পর ধাপে ধাপে এসব বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে বহিষ্কারাদেশের চিঠি পাঠানো হবে কেন্দ্র থেকে।
শুধু আওয়ামী লীগের নয়, সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যেসব নেতা উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কেন তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না—তা জানতে চেয়ে পাঠানো হবে কারণ দর্শানোর নোটিশ।
গত ১২ জুলাই সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এসব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতেই মূলত এই কঠোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। এছাড়া নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে গিয়ে যেসব মন্ত্রী-এমপি ও প্রভাবশালী নেতারা কাজ করেছেন, তাদেরও কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দর্শানো কারণের জবাব যথার্থ না হলে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার হতে পারেন অভিযুক্তরা।
বাঁশখালীতে দলীয় পদে থাকার পরও সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করায় শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম।
খোরশেদ আলমসহ চট্টগ্রাম জেলায় নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন বেশ কয়েকজন। তারা হলেন ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল। বোয়ালখালীতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল কাদের সুজন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের এডহক কমিটির সহ সভাপতি শ্রমিক নেতা এসএম নুরুল ইসলাম।
বিদ্রোহীদের বিষয়ে গত ১২ জুলাই দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে সিদ্ধান্ত হলেও এখনো জেলা পর্যায়ে এসব বিদ্রোহীদের বিষয়ে কোনও নির্দেশনা আসেনি বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহীদের বিষয়ে কেন্দ্র থেকে এখনো কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা নির্বাচন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে যত তথ্য উপাত্ত কেন্দ্র থেকে চাওয়া হবে আমরা তা দিতে বাধ্য।’
0 মন্তব্যসমূহ