পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় অঞ্চল বাঁশখালী। এটি বৃহত্তর চট্টলার দক্ষিণের উপজেলা। বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম সমূদ্র সৈকতের কিমি. ব্যবধানে অবস্থিত পশ্চিম বাঁশখালী উপকূলীয় ডিগ্রী কলেজ। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে হাজারেরও বেশী অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর কলেজটিতে আইসিটি ল্যাব থাকার পরেও শিক্ষার্থীরা আইসিটির প্র্যাকটিক্যাল শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার নেপথ্যে বিদ্যুৎকেই দায়ী করেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ।
ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের ন্যায় পশ্চিম বাঁশখালী উপকূলীয় ডিগ্রী কলেজকে আইসিটির আওতায় আনার লক্ষ্যে বিগত ২০১৭ সালের শেষের দিকে ৩০ টি কম্পিউটার সহ একটি ল্যাব চালু করেন। তবে ল্যাব উদ্ভোধনের পর দিন থেকে এখনো পর্যন্ত কোন ক্লাস করা হয়নি বলে জানান শিক্ষার্থীরা। এতে তারা বঞ্চিত হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্র্যাকটিক্যাল ধারণা থেকে। আইসিটির অজ্ঞতায় এই ডিজিটাল যুগে তাল মিলিয়ে চলা কি সম্ভব? এমনটাই প্রশ্ন ওই কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু শিক্ষার্থী জানান, কলেজে আইসিটি ল্যাব চালু করার পর একজন অতিথি শিক্ষক নিয়োগ দিলেও কখনো ঐ ল্যাবের তালা খুলতে দেখি নাই, প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসতো দূরের কথা। বর্তমানে ওই কলেজে আইসিটি শিক্ষক থাকার পরেও শিক্ষার্থীরা আইসিটির প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করার সুযোগ পাচ্ছে না। এছাড়াও আইসিটি ক্লাস থেকে বঞ্চিত একাধিক শিক্ষার্থী কলেজের অধ্যক্ষের কাছে অনেকবার অনুরোধ করলেও বিভিন্ন অজুহাতে বিষয়টি বারবার এড়িয়ে যান বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপকূলীয় ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন জানান, বিদ্যুতের লোড শেডিং এর ফলে আইসিটি ল্যাব চালু করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে অধ্যক্ষের অবহেলায় আইসিটির প্র্যাকটিকেল শিক্ষা থেকে তাদের ছেলে মেয়েরা বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানান অবিভাবকরা।
এ নিয়ে বাঁশখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহাম্মদ বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন আসছি তাই কোথায় কি সমস্যা সব খবরাখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এছাড়াও ল্যাব থাকার পরেও যদি ক্লাস না হয়, তবে সেটা অন্যায়। তাই কি কারণে এমন অভিযোগ তা আমি আগামী সোমবার সরেজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা নিব।
0 মন্তব্যসমূহ