জোবাইর চৌধুরীঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের জেলেপাড়া অংশে বেড়িবাঁধ না
থাকায় জোয়ারের পানিতে ডুবে শতাধিক পরিবার ৪দিন ধরে দুর্ভোগে রয়েছে। প্রতি
অমাবশ্যা ও পূর্ণিমার সময় জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ
ব্যবস্থা। এ সময় নৌকা নিয়ে চলাচল করতে হয় শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের।
প্রতিদিন ৮/১০ ঘণ্টা জোয়ার-ভাটার কবলে পড়তে হয় উক্ত গ্রামের বাসিন্দাদের।
বঙ্গোপসাগরের কিনারে জোয়ার ভাটা চলে সাধনপুর ইউনিয়নে ৩ নং ওয়ার্ডের ৩টি
গ্রামের কিছু অংশে। বিগত ৯০ সালের পর থেকে বাঁধের ওপর মাটি ফেলে দায়িত্ব
সম্পন্ন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এই বেড়িবাঁধের নির্মাণকাজে নয়ছয় করে কোটি
কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই প্রতি বছর
বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্বাধীনতার পর থেকে স্থায়ীভাবে কোন বাঁধ না হওয়ায় ৩ হাজার পরিবার এলাকাছাড়া
হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে ইতিমধ্যেই। এই এলাকায় একসময় সাড়ে ৪ হাজার পরিবার
বসবাস করলেও বর্তমানে মাত্র ৩ শতাধিক পরিবার বসবাস করছে।
জেলে পাড়ার সুজন জলদাশ জানান, জোয়ারের পানি উঠে ডুবে যায় পুরো পাড়া। এ সময় বসতবাড়ির চুলায় কোন আগুন জ্বলে না। শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা-যাওয়া করতে হয় ডিঙ্গি নৌকা করে।
সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন চৌধুরী খোকা বলেন, জেলেপাড়াকে রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। অনেকবার স্থায়ী বেড়িবাঁধের জন্য আবেদন করা হয়েছে। রাস্তাটিও জেলা পরিষদ থেকে সংস্কার করার কাজ চলছে।
0 মন্তব্যসমূহ