দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ১০ নেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। কেন্দ্র থেকে আজ সংশ্লিষ্ট নেতাদের কাছে পাঠানো হবে শোকজ নোটিশ। অভিযুক্তরা উপজেলা নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, ফটিকছড়ি, লোহাগাড়া ও বাঁশখালী এবং কক্সবাজার সদর উপজেলা, টেকনাফ, রামু, মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলার মোট ১০ আওয়ামী লীগ নেতা শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম আজাদীকে জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলের যেসব নেতা প্রার্থী হয়েছেন তাদের শোকজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিদ্রোহী সবাইকে শোকজ করা হবে। ৮ সেপ্টেম্বর থেকে সবাই শোকজন নোটিশ পাবেন। গতকালের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দলীয় পদে থাকার পরও দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচন করায় শাস্তির মুখোমুখি হতে যাওয়া নেতারা হলেন-বাঁশখালীতে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, বোয়ালখালীতে- দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল কাদের সুজন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের এডহক কমিটির সহ সভাপতি এসএম নুরুল ইসলাম, ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের সদস্য ও নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, লোহাগাড়ায় আওয়ামী লীগের সদস্য ও নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল।
এদিকে কঙবাজারে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কঙবাজার সদর উপজেলা, টেকনাফ, রামু, মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলার পাঁচ আওয়ামী লীগ নেতা শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। তারা হলেন, কঙবাজার সদর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য নুরুল আবছার, রামু উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, টেকনাফে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাফর আলম, মহেশখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরীফ বাদশা এবং চকরিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী।
কঙবাজার সদর উপজেলায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সারুল হক জুয়েল। সেখানে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম। এখানে আরো বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন নুরুল আবছার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক এমপি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী।
এদিকে রামু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও রামু উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজুল আলমকে হারিয়ে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি) সোহেল সরওয়ার কাজল। অপরদিকে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন বিদ্রোহী প্রার্থী (উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি) ফজলুল করিম সাঈদী। তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীকে পরাজিত করেন।
এদিকে মহেশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ হোছাইন ইব্রাহিমকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করায় অন্তত দেড়শ’ নেতাকে শোকজ করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় যারা দলের প্রার্থী ও দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছিলেন, তাদের শোকজ করার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে। আজকে সেটা বাস্তবায়নের প্রসেস কিভাবে দ্রুত করা যায়, সেটা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। রোববার (আজ) থেকে এই শোকজ নোটিশ সংশ্লিষ্ট নেতাদের কাছে পাঠানো হবে। ১৫০টির মতো শোকজ নোটিশ তৈরি হবে। শোকজের জবাবের জন্য সংশ্লিষ্টদের তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, ফটিকছড়ি, লোহাগাড়া ও বাঁশখালী এবং কক্সবাজার সদর উপজেলা, টেকনাফ, রামু, মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলার মোট ১০ আওয়ামী লীগ নেতা শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম আজাদীকে জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলের যেসব নেতা প্রার্থী হয়েছেন তাদের শোকজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিদ্রোহী সবাইকে শোকজ করা হবে। ৮ সেপ্টেম্বর থেকে সবাই শোকজন নোটিশ পাবেন। গতকালের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দলীয় পদে থাকার পরও দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচন করায় শাস্তির মুখোমুখি হতে যাওয়া নেতারা হলেন-বাঁশখালীতে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, বোয়ালখালীতে- দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল কাদের সুজন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের এডহক কমিটির সহ সভাপতি এসএম নুরুল ইসলাম, ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের সদস্য ও নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, লোহাগাড়ায় আওয়ামী লীগের সদস্য ও নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল।
এদিকে কঙবাজারে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কঙবাজার সদর উপজেলা, টেকনাফ, রামু, মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলার পাঁচ আওয়ামী লীগ নেতা শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। তারা হলেন, কঙবাজার সদর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য নুরুল আবছার, রামু উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, টেকনাফে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাফর আলম, মহেশখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরীফ বাদশা এবং চকরিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী।
কঙবাজার সদর উপজেলায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সারুল হক জুয়েল। সেখানে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম। এখানে আরো বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন নুরুল আবছার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক এমপি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী।
এদিকে রামু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও রামু উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজুল আলমকে হারিয়ে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি) সোহেল সরওয়ার কাজল। অপরদিকে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন বিদ্রোহী প্রার্থী (উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি) ফজলুল করিম সাঈদী। তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীকে পরাজিত করেন।
এদিকে মহেশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ হোছাইন ইব্রাহিমকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করায় অন্তত দেড়শ’ নেতাকে শোকজ করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় যারা দলের প্রার্থী ও দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছিলেন, তাদের শোকজ করার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে। আজকে সেটা বাস্তবায়নের প্রসেস কিভাবে দ্রুত করা যায়, সেটা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। রোববার (আজ) থেকে এই শোকজ নোটিশ সংশ্লিষ্ট নেতাদের কাছে পাঠানো হবে। ১৫০টির মতো শোকজ নোটিশ তৈরি হবে। শোকজের জবাবের জন্য সংশ্লিষ্টদের তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে।
/আজাদী!
0 মন্তব্যসমূহ