মুহাম্মদ মহিউদ্দিনঃ
বাশঁখালী গন্ডামারা ইউনিয়নে প্রায় লক্ষ লোকের বসবাস। এই ইউনিয়নের মাঝা মাঝি গন্ডামারা বড়ঘোনা উচ্চ বিদ্যালয়, দুই প্রান্তে ২টি সনামধন্য ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা, ১০ টি সরকারী প্রাইমারী স্কুল সহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্টান মসজিদ, মাদ্রসা মন্দির বিদ্যমান। স্কুল মাদ্রসা পড়ুয়া কোমলমতী ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়তের চরম দুর্বিসহ পড়েছে। বর্তমানে এই উপকুলীয় এলাকায় শিল্প উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও উন্নয়ন মোটেও স্পর্শ লাগেনি গ্রামীন সড়কে। বিশেষ করে ইউনিয়নের প্রধান ২ টি (সড়ক) মাতাব্বর ও আশরাফালী সড়ক বেহাল দশা জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে। বর্ষাকালে এসব রাস্তা কাদা মাটিতে ভরপুর , সৃষ্টি হয় বড় বড় গর্ত এক একটি গর্ত যেন একটি মৃত্যু কূপ। দেখবাল করার কেউ নেই, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রহস্য জনক ভাবে নিরব। ৫ নং ওয়ার্ড়ের মেম্বার কামাল উদ্দিন বলেন ইউনিয়ন পরিষদের বড় বাজেট না থাকায় রাস্তা সংস্কারের কাজ করতে পারছেনা। এল জি আর ডি বাজেট ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের এত বড় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা কাজ করা সম্ভব নয়। পাওয়ার প্লান্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামত বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানান।
প্যানেল চেয়ারম্যান আলী হায়দার চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে স্টাটাস দেন, আগে জানতাম উন্নয়নের পূর্বশর্ত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা কিন্তু বর্তমান বাস্তবতা পুরোটাই ভিন্ন চিত্র
শিল্পায়নের ছোঁয়ায় দিন দিন তলিয়ে যাচ্ছে প্রিয় গণ্ডামারা ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি রাস্তাঘাট! সংশ্লিষ্ট কর্তৃ পক্ষের এমন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের কে জিন্মি দশায় ফেলছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন
, স্থানীয় জনগণের কাছে মুখ লুকিয়ে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর কিছুই যেন করার নেই তাদের।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ১নং ওয়ার্ড়ের মেম্বার আলী নবি বলেন এস আলম পাওয়ার প্লান্টের মালবাহী গাড়ি চলাচলের কারনে মুলত সড়ক গুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কর্মসুচীর আওয়াতায় রাস্তা সংস্কারে কেন উদ্যেগ নেওয়া হয়নি তা জানতে চাইলে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে কাজ করবেন বলে আস্থত্ব করেন। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জাহাঙ্গীর বলেন বিশেষ করে এস আলম পাওয়ার প্লান্টের গাড়ি চলাচল করায় রাস্তা ঘাটরে বেহাল দশা পরিণত হয়েছে।
গন্ডামারা ইউনিয়নের প্রতিটা রাস্তাঘাট বর্তমান নাজুক পরিস্থিতি স্থানীয় জনপদের বাসিন্দারা বলেন নির্বাচন আসলে জনপ্রতিনিধিরা বড় বড় আশা এবং প্রতিশ্রুতির বাণী শোনায় কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর আশা এবং প্রতিশ্রুতি একমাত্র তাদের সম্ভল। কবে অত্র জনপদের ললাটের ভাগ্য পরিবর্তন হবে তা অজানা ।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অচিরেই এই সড়ক গুলো সংস্কার করবে এমনটা প্রত্যাশা এই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের।
0 মন্তব্যসমূহ