নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
চট্টগ্রাম বাঁশখালীতে শীলকুপ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড়ের রাজাখালী নামক গ্রামে বন বিভাগের সাইনবোর্ড লাগানো জায়গায় পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরীর মহোৎসব চলছে দেখবাল করার কেউ নেই। অভিযোগ রয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন খতিয়ান ভুক্ত জায়গার নামে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে মাটি খনন করে তা বিক্রয় করছে এক শ্রেনীর পরিবেশ ধ্বংসকারীরা। পাহাড়ের পাদদেশ থেকে মাটি কাটার মাধ্যমে পাহাড় ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা যেমনি রয়েছে তেমনি ভাবে মারত্মক ক্ষতি সাধন হবে পরিবেশের ভারসাম্য ।সব মিলিয়ে পাহাড় গুলো দিন দিন বিলিন হয়ে যাওয়ার পথে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বিভিন্ন ভাবে অভিযান পরিচালনা করেও এদের হাত থেকে পাহাড় রক্ষা করতে পারছেনা বলে জানা যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্কেবেট গাড়ি দিয়ে পাহাড় ও টিলা খেটে চালিয়ে যাচ্ছে মাছের পজেক্টের নামে মাটি বিক্রয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় স্থানীয় মনচুরিয়া বাজারের হারুন নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি এই কাজগুলো করে যাচ্ছে। স্থানীয় দুদু মিয়া ও মোঃ শহিদুল্লাহ সহ আর ও অনেকেই জানাই, তারা পাহাড় কেটে মাছের পজেক্ট তৈরী করছে, এটা সরকারের ব্যপার কিন্তু পাহাড়ের যে জিরিটা আপনারা দেখছেন এটা আমাদের পুরো রাজাখালী গ্রামের পাহাড়ে যাওয়ার চলাচল পথ,এটাও কেটে তারা পজেক্ট করছে, আমরা গরিব মানুষ পাহাড়ে ক্ষেত করে জীবন নির্বাহ করি, এটা বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে । এই ব্যপারে গাড়ির মালিক ও মাটি খননকারী মোঃ ইসমাঈল জানান, এই জায়গাটা পাহাড়ের ভিতর হলেও এই জায়গা আমাদের খতিয়ায় ভুক্ত জায়গা, এটি সরকারি জায়গা নয়। এই ব্যাপরে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার জানান পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার দায়িত্ব সবার ।অবশ্যই এ ব্যপারে যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্তা গ্রহণ করবেন বলেও জানান। বন কর্মকর্তা আনিছের সাথে কথা হলে তিনি জানান এটা ৪০ বছরের রাস্তা । স্থানীয়রা বল্লেন ভিন্ন কথা তারা বলেন ৪০ বৎসর না বিগত বছর দশেক আগেও এখানে কোন মানুষের যাথায়ত ও ছিলনা গভির অরণ্য ছিল। বিট কর্মকর্তা অনুমান নির্বর কথা বলছেন বলেও জানান । স্থানীয়রা বলেন পূর্বে পাহাড়ের ছোট্ট একটি জিরি ছিলো বর্তমানে জিরি কেটে রাস্তা বানানো হয়েছে। সরেজমিনে তদন্ত কালে প্রতিয়মান ও হয় পাহাড়ের ঐ জিরিটা কেটে রাস্তা তৈরী করার দৃশ্য । নতুন করে পাহাড় কেটে রাস্তা বানানোর বিষয়ে বন কর্মকতা থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান কেউ পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরী করলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে । এই বিষয়ে বাশঁখালী ভূমি কর্মকর্তা সহকারী তহসীলদার মহসিনের সাথে কতা হলে তিনি জানান কোন ভাবে পাহাড় কেটে রাস্তা করা যাবেনা এই বিষয়ে বাশঁখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি । সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ পাহাড় কাটা বন্ধ করবে এমটা প্রত্যাশা সবার।
0 মন্তব্যসমূহ