বি,এন ডেস্কঃ
ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্তকরণের লক্ষ্যে ৩ বছরের ফলাফলের তালিকা
চেয়েছে সরকার। আর এমপিওভুক্তির শর্তপূরণে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার বছরেই
বাঁশখালী উপজেলার দুটি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ নিয়মিত ছাত্র না থাকায় অন্যান্য
মাদ্রাসার ৭ম, ৮ম শ্রেণিতে পড়–য়া ছাত্রছাত্রী ও ঝরেপড়া শিক্ষার্থী দিয়ে
রেজিস্ট্রেশন করে পিইসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানোর তৎপরতা চালায়। তাদের এই
অপতৎপরতার বিষয়টি ধরা পড়ে ৭ জন শিক্ষার্থী ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে সনাক্ত
হলে।
জানা যায়, সরল ইউনিয়নের পশ্চিম সরল হাকিমিয়া মাদ্রাসায় পরীক্ষার্থী ছিল ৫
জন বালক ও ৬ বালিকা মিলিয়ে মোট ১১ জন। মিনজিরীতলা রহমানিয়া স্বতন্ত্র
ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় পরীক্ষার্থী ছিল ৯ জন বালক ও ১১ জন বালিকাসহ মোট ২০ জন।
এদের মধ্যে তদন্ত কমিটির তদন্তে সরল হাকিমিয়া মাদ্রাসার ছাত্র পরিচয়ে মো.
শাহানুল্লাহ ও মো. আব্দুল্লাহ ২ জন এবং মিনজীরিতলা রহমানিয়া মাদ্রাসার
ছাত্র পরিচয়ে জাফর বদরী, তানভির হোসেন, মো. জোবাইর, মো. আবু বক্কর ও মো.
আরিফুল ইসলাম ভুয়া পরীক্ষার্থী বলে তদন্তে ধরা পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৭ নভেম্বর মিনজীরিতলা সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রথমদিন ই্ংরেজি পরীক্ষা চলাকালীন অভিযানে
বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন
করা হয়। মিনজিরীতলা রহমানিয়া স্বতন্ত্র মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি
হাফেজ আহমদের কাছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়ে
জানার জন্য ফোন করা হলে তিনি বলেন, মাদ্রাসা নিয়ে অনেক কথা, তিনি মাদ্রাসা
করবেন না বলে উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাদ্রাসার দায়িত্বে থাকা
ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ ফেরদৌস ও সুপার মোহাম্মদ মুবিনের সাথে
মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পিইসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রে দায়িত্বরত সরকারি কর্মকর্তা মৃদুল বড়–য়া বলেন, ইংরেজি পরীক্ষার সময় দুই মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলেও পরবর্তীতে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যায়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
পিইসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রে দায়িত্বরত সরকারি কর্মকর্তা মৃদুল বড়–য়া বলেন, ইংরেজি পরীক্ষার সময় দুই মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলেও পরবর্তীতে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যায়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসতিয়াক আহমদ বলেন, মাদ্রাসা
পর্যায়ে পিইসি পরীক্ষায় ইবতেদায়ী ২টি মাদ্রাসার ভুয়া পরীক্ষার্থী অংশ
নেয়ার অভিযোগের তদন্ত শেষে রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তদন্তে ৭ জনের নামে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, মাদ্রাসার পিইসি পরীক্ষার ভুয়া পরীক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের বিষয়টির তদন্ত অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
দৈনিক পূর্বকোণ
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, মাদ্রাসার পিইসি পরীক্ষার ভুয়া পরীক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের বিষয়টির তদন্ত অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
দৈনিক পূর্বকোণ
0 মন্তব্যসমূহ