এম আলমঃ
গত ১০ নভেম্বর রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে মহানগর উত্তর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ‘‘গণতন্ত্র দিবস’র এক আলোচনা সভায় দলটির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা শহীদ নূর হোসেনকে ইয়াবাখোর ও ফেন্সিডিলখোর বলার অভিযোগে তার বরাবর উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন বাঁশখালীর সন্তান জাহেদুল হক জাহেদ। গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় ফার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গার নামে উকিল নোটিশ পাঠান তিনি। জাহেদুল ইসলাম জাহেদ এর বাড়ী বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব রায়ছটা গ্রামে।
উকিল নোটিশে জাহেদুল ইসলাম জাহেদ অভিযোগ করেন, শহীদ নুর হোসেন গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে। অথচ আজ তাকে মিথ্যা বদনাম দেয়া হলো। তখন কি কোনো ইয়াবা ছিল? প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে ইয়াবার আবির্ভাব ঘটে ১৯৯৭ সালে, পরে ২০০০ সাল থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মায়ানমার থেকে এ দেশে ইয়াবা আসতে শুরু করে। অর্থাৎ নুর হোসেন শহীদ হওয়ার ১০ বছর এ দেশে ইয়াবা আসে। তাহলে কিভাবে মিথ্যা ভুয়া বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্যের উপর নির্ভর করে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা শহীদ নুর হোসেনকে খাটো করে বক্তব্য প্রদান করেন।
জাহেদ দাবী করেন, ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর সেই সময়ের সামরিক শাসক এরশাদের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলনে রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট এলাকায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হন যুবলীগ নেতা নূর হোসেনসহ নূরুল হুদা বাবু ও ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো। এখন সেই জায়গাটি শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার নামে পরিচিত। বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক / স্বৈরাচার নিপাত যাক’ লিখে মিছিল করা অবস্থায় পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা। সেই ঘটনার পর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন আরো বেগবান হয়ে উঠে। তার তিন বছর পর ১৯৯০ সালের শেষ দিকে বিদায় নিতে বাধ্য হন স্বৈরাচার এরশাদ।
নোটিশে আরও বলা হয়, বিশ দিনের মধ্যে যদি শহীদ নুর হোসেন এর বিরুদ্ধে মিথ্যা ভুয়া বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রত্যাহার করা না হয় তিনি আইনগত পদক্ষেপ নেবেন।
0 মন্তব্যসমূহ