এম আলমঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ অহিদুল আলম ও নুর নাহার বেগম দম্পত্তির জেষ্ঠ একমাত্র পুত্র ডাঃ শরীফ জামান শরীফ চট্টগ্রামের ডাঃ জাকির হোসেন সিটি কর্পোরেশন হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রভাষক। তার পূর্বে ২০১১ সালে আজিজুর রহমান হোমিওপ্যাথিক কলেজ ও হাসপাতালের প্রভাষক হিসাবেও কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি ২০১২ সাল থেকে ডাঃ জাকির হোসেন সিটি কর্পোরেশন হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রভাষক হিসাবে যোগদান করে নিষ্ঠা ও সততার সাথে তার দায়িত্ব পালন করে আসতেছেন। তিনি ২০০৬ সালে সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ইন্টার্নি ডাক্তার হিসাবে যোগদান করে ২০০৭ সালে ৪৩ তম সমাবর্তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথির সর্বোচ্চ বিএইচএমএস ডিগ্রী অর্জনের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশন সনদ লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে কালীপুর এজহারুল হক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৯৭ সালে বাঁশখালী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঐ বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, মিরপুর-১৪, ঢাকায় ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি বিগত ২০১০ সালে চট্টগ্রাম শহরের বহদ্দার হাটে সিমিলিয়া হোমিওমেডিকেয়ার নামক একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। ঐখানে বিকাল ৫ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত রোগীদের সেবা প্রদান করেন। এছাড়াও প্রতি শুক্রবারে নাড়ির টানে তার নিজ গ্রাম বাঁশখালীর কালীপুরে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে রজনীগন্ধা মার্কেটে তার চেম্বারে রোগীদের সেবা প্রদান করেন। এমনকি তিনি অসহায় গরীব দুস্ত রোগীকে বীনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকেন। তিনি বিভিন্ন সেমিনারে ডায়াবেটিস, এজমা, ডেংঙ্গু, চিকনগুনিয়া, সাইনোসাইটিস ও বিভিন্ন জটিল রোগের উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তাছাড়াও বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার বাঁশখালী
শাখার সাধারণ সম্পাদক, বাঁশখালী ডায়বেটিক সমিতির আজীবন সদস্য ও বাংলাদেশ
হোমিওপ্যাথিক পরিষদের বাঁশখালী শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন।
বাঁশখালীর এই অনন্য কৃতি সন্তান ডাঃ শরীফ জামান শরীফ তিন ভাই বোনের মধ্যে মেঝো। তার দুই বোন সুলতানা বাজেকা অরু ও পড়সিয়া সুলতানা টুংকু। সুলতানা বাজেকা অরু ২০০৩ সালে কালীপুর নাসেরা খাতুন সরকারী প্রথামিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করে কঠোর পরিশ্রম ও আন্তরিকতার সাথে ছাত্রছাত্রীদেরকে পাঠদান করে যাচ্ছেন। তাদের মা নুর নাহার বেগমও কালীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা।
0 মন্তব্যসমূহ