বি,এন ডেস্কঃ
বাঁশখালীর সাধনপুর শীলপাড়ায় ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যা মামলাটির দ্রুত
বিচার কার্যক্রম চলছে। আজ (১৮ নভেম্বর) ঘটনার ১৬ বছর পূর্ণ হয়েছে।
ডাকাতবেশী নরপশুরা ২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর এই হত্যা কা-টি ঘটায়। এ হত্যা
মামলাটি গত ২৩ জুন উচ্চ আদালতের এক আদেশে (৬ মাসের মধ্যে) আগামী ২৩
ডিসেম্বরের মধ্যে নিস্পত্তি করার জন্য বলা হয়েছে। আদেশের পর প্রতি মাসে
অন্তত দুটি বিচারের দিন ধার্য্য করে মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মামলার
বাদি ডা. বিমল শীল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাক্ষীদের দ্রুত সাক্ষী প্রদান
সম্পন্ন করে ন্যায় বিচার দাবি করেছেন। এ মামলাটিতে ২০১১ সালের ৯ জানুয়ারি
৩৯ জনকে আসামি করে এবং ৫৭ জনকে সাক্ষী দেখিয়ে তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা
সিআইডি’র এএসপি হ্লাচিং প্রু আদালতে সম্পূরক চার্জসিট দাখিল করেন। মামলাটি
১ম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে সাক্ষ্য
গ্রহণ চলছে। ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষী হরিধন সুশীল মারা
গেছেনে। ৩৬ জনের এখনো সাক্ষ্য বাকি রয়েছে। গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত
কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার হ্লাচিং প্রু ও এ.এস.পি খোরশেদ আলমের
সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৮ নভেম্বর মামলাটির ধার্য্য দিন
রয়েছে। এ মামলায় ৩ জন সিনিয়র সাংবাদিকসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর সাক্ষ্য
বাকি রয়েছে। আজ (সোমবার) সাধনপুর শীলপাড়া পোড়া বাড়িতে নিহতদের স্মরণে
পরিবারের পক্ষ থেকে ও সামাজিক সংগঠন থেকে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া
শ্মশানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
উল্লেখ্য, বাঁশখালী সাধনপুর ইউনিয়নের শীলপাড়ায় ২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর গভীর
রাতে ডাকাতরূপে নরপশুরা তেজেন্দ্র শীলের বাড়িতে ঘরের দরজা বন্ধ করে
অগ্নিসংযোগ করে। এতে একই পরিবারের ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনায় নিহত
পরিবারের সদস্য ডা. বিমল শীল বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। রাষ্ট্র পক্ষের
আইনজীবী অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা পি.পি এডভোকেট লোকমান হোসেন চৌধুরী বলেন,
আলোচিত এই ১১ হত্যা মামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ পর্যন্ত
২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্যসহ আরো অনেক
সাক্ষ্য বাকি রয়েছে। দ্রুত মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্নের কার্যক্রম
অব্যাহত আছে।
/দৈনিক পূর্বকোণ/
0 মন্তব্যসমূহ