১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর বাঁশখালীতে হানাদারদের রুখে দিয়ে প্রথমবারের মতো স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিকামী জনতা।
মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে আটক হওয়া রাজাকারদের বিচারে গণআদালতের ডাক দিয়ে ১৩ ডিসেম্বর মাইকিং করা হয়। এরপর ১৪ ডিসেম্বর বাণীগ্রাম হাইস্কুল মাঠে রাজাকারদের বিচারে আতাউর রহমান খান কায়সারের নেতৃত্বে গণআদালত বসে। জনতার স্বাক্ষ্য প্রমাণে ২০ জনের বিরুদ্ধে অপরাধ না পাওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়। বাকি রাজাকারদের দেওয়া হয় শাস্তি।
মুক্তিযোদ্ধারা জানান, বাঁশখালীতে চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা হয়। এই চারটি গ্রুপের হয়ে নেতৃত্ব দেন মুক্তিযোদ্ধা মৌলভি ছৈয়দ ও সাবেক সংসদ সদস্য সুলতান উল কবির চৌধুরী, শফিকুর রহমান, ডা. আবু ইউসুফ চৌধুরী ও ছমিউদ্দিন। শফিকুর রহমানের গ্রুপে ৩৫ জন, মৌলভি ছৈয়দ ও সুলতান উল কবির চৌধুরী গ্রুপে ৬৫ জন, ডা. আবু ইউসুফ চৌধুরী গ্রুপে ১২ জন এবং ছমিউদ্দিনের গ্রুপে ৩০জন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাজাকাররা তাবু গুটিয়ে একজায়গায় একত্রিত হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত তারা গুণাগরির ওয়াপদা বিল্ডিংয়ে ঘাঁটি গাড়ে। এই ঘাঁটিতে ২৫০ থেকে ৩০০জন রাজাকার ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের চারটি গ্রুপ একত্রিত হয়ে ১৯৭১ এর ১০ ডিসেম্বর রাজাকারদের ঘাঁটি ওয়াপদা বিল্ডিং এ অপারেশন শুরু করে। গোলাগুলির মধ্যে বেশ কিছু রাজাকার অস্ত্রশস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে যুদ্ধ চলে টানা দুইদিন।
মিত্রবাহিনীর একটি ট্যাংক বহর বুড়িচং কক্সবাজার হয়ে বাঁশখালী আসে। হানাদাররা ওই রাতেই বাঁশখালী ছেড়ে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে পালিয়ে যায়। ধীরে ধীরে মুক্তিবাহিনীর বিভিন্ন গ্রুপ বাঁশখালী সদরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এরই মধ্যে মিত্রবাহিনীর ট্যাংক বহরটি বাঁশখালী থেকে চকরিয়া রোডে ঢাকা অভিমুখে যাওয়ার সময় এলাকায় ভুল বোঝাবুঝির ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে গুলি বিনিময় হলে মিত্রবাহিনীর ৬ সেনা সদস্য নিহত হয়।
অবশেষে ১২ ডিসেম্বর সকালে ৭৫ জন রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। এরপর ওয়াপদা বিল্ডিংয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধারাসহ মুক্তিকামী জনতা একত্রিত হয়ে মিছিল সহকারে বর্তমানে বাঁশখালী থানা এলাকায় পতাকা উত্তোলন করেন, হানাদারমুক্ত হয় এই উপজেলা।
মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে আটক হওয়া রাজাকারদের বিচারে গণআদালতের ডাক দিয়ে ১৩ ডিসেম্বর মাইকিং করা হয়। এরপর ১৪ ডিসেম্বর বাণীগ্রাম হাইস্কুল মাঠে রাজাকারদের বিচারে আতাউর রহমান খান কায়সারের নেতৃত্বে গণআদালত বসে। জনতার স্বাক্ষ্য প্রমাণে ২০ জনের বিরুদ্ধে অপরাধ না পাওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়। বাকি রাজাকারদের দেওয়া হয় শাস্তি।
মুক্তিযোদ্ধারা জানান, বাঁশখালীতে চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা হয়। এই চারটি গ্রুপের হয়ে নেতৃত্ব দেন মুক্তিযোদ্ধা মৌলভি ছৈয়দ ও সাবেক সংসদ সদস্য সুলতান উল কবির চৌধুরী, শফিকুর রহমান, ডা. আবু ইউসুফ চৌধুরী ও ছমিউদ্দিন। শফিকুর রহমানের গ্রুপে ৩৫ জন, মৌলভি ছৈয়দ ও সুলতান উল কবির চৌধুরী গ্রুপে ৬৫ জন, ডা. আবু ইউসুফ চৌধুরী গ্রুপে ১২ জন এবং ছমিউদ্দিনের গ্রুপে ৩০জন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাজাকাররা তাবু গুটিয়ে একজায়গায় একত্রিত হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত তারা গুণাগরির ওয়াপদা বিল্ডিংয়ে ঘাঁটি গাড়ে। এই ঘাঁটিতে ২৫০ থেকে ৩০০জন রাজাকার ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের চারটি গ্রুপ একত্রিত হয়ে ১৯৭১ এর ১০ ডিসেম্বর রাজাকারদের ঘাঁটি ওয়াপদা বিল্ডিং এ অপারেশন শুরু করে। গোলাগুলির মধ্যে বেশ কিছু রাজাকার অস্ত্রশস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে যুদ্ধ চলে টানা দুইদিন।
মিত্রবাহিনীর একটি ট্যাংক বহর বুড়িচং কক্সবাজার হয়ে বাঁশখালী আসে। হানাদাররা ওই রাতেই বাঁশখালী ছেড়ে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে পালিয়ে যায়। ধীরে ধীরে মুক্তিবাহিনীর বিভিন্ন গ্রুপ বাঁশখালী সদরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এরই মধ্যে মিত্রবাহিনীর ট্যাংক বহরটি বাঁশখালী থেকে চকরিয়া রোডে ঢাকা অভিমুখে যাওয়ার সময় এলাকায় ভুল বোঝাবুঝির ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে গুলি বিনিময় হলে মিত্রবাহিনীর ৬ সেনা সদস্য নিহত হয়।
অবশেষে ১২ ডিসেম্বর সকালে ৭৫ জন রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। এরপর ওয়াপদা বিল্ডিংয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধারাসহ মুক্তিকামী জনতা একত্রিত হয়ে মিছিল সহকারে বর্তমানে বাঁশখালী থানা এলাকায় পতাকা উত্তোলন করেন, হানাদারমুক্ত হয় এই উপজেলা।
/বাংলা নিউজ ২৪।
0 মন্তব্যসমূহ