বি,এন ডেস্কঃ
বাঁশখালী প্রধান সড়কের গর্তগুলো দিন দিন বড় হওয়াতে যান চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ জনগণ। অপরদিকে এই গর্তগুলো ইট ও কংক্রিট দিয়ে ভরাট করা হলেও পুনরায় গর্তের সৃষ্টি হওয়াতে বাঁশখালীর প্রধান সড়ক এখন গর্তে ভরে গেছে। ফলে সড়কটি জুড়ে গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী অসংখ্য যানবাহন গর্তে পড়ে বিকল হয়ে পড়ছে। এই সড়কে এ্যাম্বুলেন্সযোগে যাতায়াতকারী বিভিন্ন রোগী ও গর্ভবতী হিলাসহ সাধারণ যাত্রীদের চলাচলে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন পেকুয়া, চকরিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া সহ দক্ষিণাঞ্চলের অসংখ্য যানবাহন ও কয়েক লক্ষাধিক মানুষ চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে এ সড়ক দিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি বেহাল দশা অবস্থায় পড়ে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যেন কিছুই করার নেই! এদিকে দোহাজারী সড়ক বিভাগ থেকে সড়কটি সংস্কারের জন্য ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ সড়কটির কাজ শুরু হবে এই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পুকুরিয়ার এক্কাইত্যা পুকুর পাড়, সাধনপুরের বাণীগ্রাম বাজার ও সোনার টিলা কালীপুর ছফিরের দোকান, বৈলছড়ি বাজারের উত্তরাংশ, সরলের পাইরাং ও দেলাইয়ার দোকান, পৌরসভার উত্তর জলদী ও দক্ষিণ জলদী, শীলকূপ টাইম বাজার, চাম্বলের সিকদার দোকান থেকে শেখেরখীল রাস্তার মাথা পর্যন্ত ও পুইছড়ির প্রেম বাজার, নাপোড়া বাজারের উত্তরাংশে সড়ক জুড়ে অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দে ছেয়ে গেছে। সিমেন্ট, রড ও মাটি বোঝাই অতিরিক্ত ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে সড়কটি ছিন্ন ভিন্ন হয়ে পড়েছে। ওই গর্ত গুলোতে পড়ে একদিকে যেমন বিভিন্ন যানবাহনের যন্ত্রাংশ ক্ষয়ক্ষতি হয়, তেমনি যাত্রীরাও বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এসব গর্তগুলোকে এড়িয়ে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হয় অসংখ্য যানবাহন ও সাধারণ মানুষ। সড়কের কিছু কিছু অংশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গর্ত ভরাট কার্যক্রম পরিচালনা করা হলেও উক্ত কাজ যথাযথ মানসম্মত ভাবে না করার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে পাথর বিটুমিনযুক্ত কার্পেটিংগুলো উঠে গিয়ে পুনরায় পূর্বের ন্যায় গর্ত হয়ে গেছে। জানা গেছে, দোহাজারী সড়ক বিভাগের অধীনে আনোয়ারা-বাঁশখালীর প্রায় ৭০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে বাঁশখালী অংশটি তৈলারদ্বীপ সেতু থেকে টৈটং পর্যন্ত ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫ কিলোমিটার সড়কের ৯.৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করলেও বাকী অংশটুকুতে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্ত ভরাটের জন্য সড়ক বিভাগ থেকে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার কাজ চালালেও কার্পেটিং গুলো উঠে গিয়ে পুনরায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক বিভাগের অধীনে আনোয়ারা কালা বিবির দিঘী থেকে জলদী পর্যন্ত সড়কের জরাজীর্ণ অংশে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১৮ ফুট প্রস্থ স্থায়ীভাবে রাস্তা সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছে।
পিএবি বাস মালিক সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন বলেন, সড়কের অবস্থা এতই করুণ যে প্রতিদিন যানবাহনগুলো গর্তে পড়ে বিকল হয়ে যাচ্ছে। এতে করে গাড়ির মালিক পক্ষ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অনেক মালিক যাত্রীবাহী যানবাহন বসিয়ে রেখেছে। এই সড়কের উপর দিয়ে দৈনিক হাজার হাজার ভারী যানবাহন চলাচল করলেও সেই হিসেবে সড়কটি সংস্কার নেই এবং পথচারীদের চলাচলের জন্য ফুটপাতও নেই। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।’
দোহারজারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন কুমার সিংহ বলেন, ‘বাঁশখালীর প্রধান সড়কটি সংস্কার এবং সম্প্রসারণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগে পত্র পাঠানো হয়েছিল। আনোয়ারার কালা বিবির দিঘী থেকে বাঁশখালী পৌর সদরের জলদী পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শীঘ্রই সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হবে। জলদী থেকে টইটং বাকী অংশে কাজের জন্য ২৫ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি যখন কাপের্টিং রাস্তায় পড়ে তখন গর্তের সৃষ্টি হয়। সেজন্য ছোট গর্তগুলোসহ পুরো সড়কেই সংস্কার কাজ করা হবে।’
এদিকে বর্তমানে প্রধান সড়কে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হওয়াতে সওজের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে ইট কংক্রিট দিয়ে মাঝে মাঝে কয়েক স্থানে গর্তগুলো ভরাট করলেও পুনরায় গর্তগুলো সৃষ্টি হওয়ায় গাড়ি চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে বাঁশখালীর জনগণ।
বাঁশখালী প্রধান সড়কের গর্তগুলো দিন দিন বড় হওয়াতে যান চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ জনগণ। অপরদিকে এই গর্তগুলো ইট ও কংক্রিট দিয়ে ভরাট করা হলেও পুনরায় গর্তের সৃষ্টি হওয়াতে বাঁশখালীর প্রধান সড়ক এখন গর্তে ভরে গেছে। ফলে সড়কটি জুড়ে গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী অসংখ্য যানবাহন গর্তে পড়ে বিকল হয়ে পড়ছে। এই সড়কে এ্যাম্বুলেন্সযোগে যাতায়াতকারী বিভিন্ন রোগী ও গর্ভবতী হিলাসহ সাধারণ যাত্রীদের চলাচলে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন পেকুয়া, চকরিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া সহ দক্ষিণাঞ্চলের অসংখ্য যানবাহন ও কয়েক লক্ষাধিক মানুষ চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে এ সড়ক দিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি বেহাল দশা অবস্থায় পড়ে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যেন কিছুই করার নেই! এদিকে দোহাজারী সড়ক বিভাগ থেকে সড়কটি সংস্কারের জন্য ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ সড়কটির কাজ শুরু হবে এই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পুকুরিয়ার এক্কাইত্যা পুকুর পাড়, সাধনপুরের বাণীগ্রাম বাজার ও সোনার টিলা কালীপুর ছফিরের দোকান, বৈলছড়ি বাজারের উত্তরাংশ, সরলের পাইরাং ও দেলাইয়ার দোকান, পৌরসভার উত্তর জলদী ও দক্ষিণ জলদী, শীলকূপ টাইম বাজার, চাম্বলের সিকদার দোকান থেকে শেখেরখীল রাস্তার মাথা পর্যন্ত ও পুইছড়ির প্রেম বাজার, নাপোড়া বাজারের উত্তরাংশে সড়ক জুড়ে অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দে ছেয়ে গেছে। সিমেন্ট, রড ও মাটি বোঝাই অতিরিক্ত ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে সড়কটি ছিন্ন ভিন্ন হয়ে পড়েছে। ওই গর্ত গুলোতে পড়ে একদিকে যেমন বিভিন্ন যানবাহনের যন্ত্রাংশ ক্ষয়ক্ষতি হয়, তেমনি যাত্রীরাও বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এসব গর্তগুলোকে এড়িয়ে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হয় অসংখ্য যানবাহন ও সাধারণ মানুষ। সড়কের কিছু কিছু অংশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গর্ত ভরাট কার্যক্রম পরিচালনা করা হলেও উক্ত কাজ যথাযথ মানসম্মত ভাবে না করার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে পাথর বিটুমিনযুক্ত কার্পেটিংগুলো উঠে গিয়ে পুনরায় পূর্বের ন্যায় গর্ত হয়ে গেছে। জানা গেছে, দোহাজারী সড়ক বিভাগের অধীনে আনোয়ারা-বাঁশখালীর প্রায় ৭০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে বাঁশখালী অংশটি তৈলারদ্বীপ সেতু থেকে টৈটং পর্যন্ত ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫ কিলোমিটার সড়কের ৯.৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করলেও বাকী অংশটুকুতে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্ত ভরাটের জন্য সড়ক বিভাগ থেকে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার কাজ চালালেও কার্পেটিং গুলো উঠে গিয়ে পুনরায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক বিভাগের অধীনে আনোয়ারা কালা বিবির দিঘী থেকে জলদী পর্যন্ত সড়কের জরাজীর্ণ অংশে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১৮ ফুট প্রস্থ স্থায়ীভাবে রাস্তা সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছে।
পিএবি বাস মালিক সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন বলেন, সড়কের অবস্থা এতই করুণ যে প্রতিদিন যানবাহনগুলো গর্তে পড়ে বিকল হয়ে যাচ্ছে। এতে করে গাড়ির মালিক পক্ষ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অনেক মালিক যাত্রীবাহী যানবাহন বসিয়ে রেখেছে। এই সড়কের উপর দিয়ে দৈনিক হাজার হাজার ভারী যানবাহন চলাচল করলেও সেই হিসেবে সড়কটি সংস্কার নেই এবং পথচারীদের চলাচলের জন্য ফুটপাতও নেই। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।’
দোহারজারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন কুমার সিংহ বলেন, ‘বাঁশখালীর প্রধান সড়কটি সংস্কার এবং সম্প্রসারণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগে পত্র পাঠানো হয়েছিল। আনোয়ারার কালা বিবির দিঘী থেকে বাঁশখালী পৌর সদরের জলদী পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শীঘ্রই সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হবে। জলদী থেকে টইটং বাকী অংশে কাজের জন্য ২৫ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি যখন কাপের্টিং রাস্তায় পড়ে তখন গর্তের সৃষ্টি হয়। সেজন্য ছোট গর্তগুলোসহ পুরো সড়কেই সংস্কার কাজ করা হবে।’
এদিকে বর্তমানে প্রধান সড়কে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হওয়াতে সওজের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে ইট কংক্রিট দিয়ে মাঝে মাঝে কয়েক স্থানে গর্তগুলো ভরাট করলেও পুনরায় গর্তগুলো সৃষ্টি হওয়ায় গাড়ি চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে বাঁশখালীর জনগণ।
/দৈনিক আজাদী/
0 মন্তব্যসমূহ