জোবাইর চৌধুরী, বিশেষ সংবাদদাতাঃ
একদিকে বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে ২ দিন ব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তীর বর্ণাঢ্য আয়োজন বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার মধ্য দিয়ে চলছে নৃত্য ও গানের মহোৎসব। অপরদিকে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে সেই বিদ্যালয়ের ৯৪ ব্যাচের ছাত্র মো. রেজাউল করিম তালুকদার লিটন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন একই মঞ্চে। এদিকে ওই ছাত্রের নিথর মরদেহ বিদ্যালয় হতে আধা কিলোমিটার দক্ষিণে পন্ডিত বাড়ীস্থ নিজ বাড়ীতে পড়ে আছে। সাথে পুরো এলাকায় দেখা দিয়েছে শোকের মাতম। শোককে তোয়াক্কা না করে ওই ছাত্রের লাশ কবরে স্থান না পাওয়ার পূর্বেই সুবর্ণ জয়ন্তীর মঞ্চ গান ও নৃত্যের ঝড়ে হয়ে উঠেছে মাতোয়ারা। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে কর্তৃপক্ষ যখন গান আর নৃত্যু নিয়ে মাতোয়ারা ঠিক তখনই সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে একঝাক তরুণের দল। তারা ফেসবুক ষ্ট্যাটাসের মাধ্যমে পৃথক পৃথক ভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেন- ‘লাশের উপর নৃত্য!!! নামকরণ হউক কাথারিয়া (বাঘমারা) মানুষ মারা উচ্চ বিদ্যালয়।’ ‘কাথরিয়া বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর মৃত্যু মঞ্চে গানের উৎসব মানবতার সাথে চরম উপহাস ও বড় ধৃষ্টতা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এতো বছরেও একটি মানুষ জন্ম নিলনা? ধীক্কার’ ‘লাশের উপর দাঁড়িয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নামে নাট্য মঞ্চ অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক। ফ্যাক্ট : কাথরিয়া বাগমারা স্কুলের রজত জয়ন্তী’ ‘আরে ভাই থামেন, এসব বাংলাদেশে সম্ভব বুঝলেন? দিনে যেই মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার পর একজন মানুষ মারা যায় আবার সেই মঞ্চেই নাট্য উৎসবে মগ্ন হয়ে উঠতে পারে বর্বর শিক্ষিত মূর্খের দল। আজীবন ঘৃণার আঁচলে থাকবে এই কাথরিয়া বাগমারা স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী আয়োজক কমিটি সাথে কাথরিয়া বাগমারা বাসিন্দারাও’ এই রকম আরো অনেক স্ট্যাটাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে। এদিকে সুবর্ণ জয়ন্তীর মঞ্চে মৃত্যুবরণকারী ৯৪ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র রেজাউল করিমের নামাযে জানাজা রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় স্থানীয় মসজিদে মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সেই ওই এলাকার পন্ডিত বাড়ীর নুরুল ইসলাম তালুকদারের পুত্র।
জানা যায়, গত শুক্রবার থেকে শুরু হয় চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া-বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ পূর্তিতে ২ দিন ব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব। এই উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ওই স্কুলের ৯৪ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র রেজাউল করিম তালুকদার লিটন। বক্তব্যে শেষ মঞ্চের চেয়ারে বসা মাত্রই অসুস্থতাবোধ করে ঢলে পড়ে রেজাউল। উপস্থিত ছাত্ররা তাকে তাৎক্ষনিক ভাবে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসিজি পরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার লাশ নিজ বাড়ী কাথরিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পন্ডিত বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয়। হাজারো মানুষ তাকে দেখতে ও শোক জানাতে তার বাড়ীতে ভিড় জমায়। এই অবস্থায় ওই দিন রাত ২ টা পর্যন্ত সুবর্ণ জয়ন্তীর মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গেয়ে ঝড় তোলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী রবি চৌধুরীসহ আরো বিভিন্ন শিল্পীরা। এই অবস্থায় এলাকার যুব সমাজ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ স্থানীয় গণমাধ্যমে কর্মীদের বিবৃতি প্রদান করেন। বিবৃতিতে তারা এই ঘটনাকে একটি ন্যাক্কার জনক ও অমানবিক ঘটনা আখ্যায়িত করেন।
এ ব্যাপারে সুবর্ণ জয়ন্তীর উৎসবে দায়িত্বে থাকা কাথরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান চৌধুরীর মুঠোফোনে (০১৮১৯৩১৪৯২০) একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাথরিয়া বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন পরিষদের আহবায়ক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘কাথরিয়া বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৪ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র রেজাউল করিম মঞ্চে বক্তব্য প্রদান শেষে অসুস্থতাবোধ করে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব আনা হয়েছে এবং তার আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মুনাজাত করা হয়েছে।’ শোককে উপেক্ষা করে সুর্বণ জয়ন্তীর মঞ্চে গান ও নৃত্য অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘হাজারো ছাত্র-ছাত্রী অনেকদিন পর একত্রে মিলিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের আশা আকাঙ্খা বিবেচনা করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কতিপয় যুবক হিংস্যাত্মক মনোভাব নিয়ে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে।’
একদিকে বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে ২ দিন ব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তীর বর্ণাঢ্য আয়োজন বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার মধ্য দিয়ে চলছে নৃত্য ও গানের মহোৎসব। অপরদিকে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে সেই বিদ্যালয়ের ৯৪ ব্যাচের ছাত্র মো. রেজাউল করিম তালুকদার লিটন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন একই মঞ্চে। এদিকে ওই ছাত্রের নিথর মরদেহ বিদ্যালয় হতে আধা কিলোমিটার দক্ষিণে পন্ডিত বাড়ীস্থ নিজ বাড়ীতে পড়ে আছে। সাথে পুরো এলাকায় দেখা দিয়েছে শোকের মাতম। শোককে তোয়াক্কা না করে ওই ছাত্রের লাশ কবরে স্থান না পাওয়ার পূর্বেই সুবর্ণ জয়ন্তীর মঞ্চ গান ও নৃত্যের ঝড়ে হয়ে উঠেছে মাতোয়ারা। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে কর্তৃপক্ষ যখন গান আর নৃত্যু নিয়ে মাতোয়ারা ঠিক তখনই সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে একঝাক তরুণের দল। তারা ফেসবুক ষ্ট্যাটাসের মাধ্যমে পৃথক পৃথক ভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেন- ‘লাশের উপর নৃত্য!!! নামকরণ হউক কাথারিয়া (বাঘমারা) মানুষ মারা উচ্চ বিদ্যালয়।’ ‘কাথরিয়া বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর মৃত্যু মঞ্চে গানের উৎসব মানবতার সাথে চরম উপহাস ও বড় ধৃষ্টতা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এতো বছরেও একটি মানুষ জন্ম নিলনা? ধীক্কার’ ‘লাশের উপর দাঁড়িয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নামে নাট্য মঞ্চ অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক। ফ্যাক্ট : কাথরিয়া বাগমারা স্কুলের রজত জয়ন্তী’ ‘আরে ভাই থামেন, এসব বাংলাদেশে সম্ভব বুঝলেন? দিনে যেই মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার পর একজন মানুষ মারা যায় আবার সেই মঞ্চেই নাট্য উৎসবে মগ্ন হয়ে উঠতে পারে বর্বর শিক্ষিত মূর্খের দল। আজীবন ঘৃণার আঁচলে থাকবে এই কাথরিয়া বাগমারা স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী আয়োজক কমিটি সাথে কাথরিয়া বাগমারা বাসিন্দারাও’ এই রকম আরো অনেক স্ট্যাটাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে। এদিকে সুবর্ণ জয়ন্তীর মঞ্চে মৃত্যুবরণকারী ৯৪ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র রেজাউল করিমের নামাযে জানাজা রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় স্থানীয় মসজিদে মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সেই ওই এলাকার পন্ডিত বাড়ীর নুরুল ইসলাম তালুকদারের পুত্র।
জানা যায়, গত শুক্রবার থেকে শুরু হয় চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া-বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ পূর্তিতে ২ দিন ব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব। এই উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ওই স্কুলের ৯৪ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র রেজাউল করিম তালুকদার লিটন। বক্তব্যে শেষ মঞ্চের চেয়ারে বসা মাত্রই অসুস্থতাবোধ করে ঢলে পড়ে রেজাউল। উপস্থিত ছাত্ররা তাকে তাৎক্ষনিক ভাবে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসিজি পরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার লাশ নিজ বাড়ী কাথরিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পন্ডিত বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয়। হাজারো মানুষ তাকে দেখতে ও শোক জানাতে তার বাড়ীতে ভিড় জমায়। এই অবস্থায় ওই দিন রাত ২ টা পর্যন্ত সুবর্ণ জয়ন্তীর মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গেয়ে ঝড় তোলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী রবি চৌধুরীসহ আরো বিভিন্ন শিল্পীরা। এই অবস্থায় এলাকার যুব সমাজ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ স্থানীয় গণমাধ্যমে কর্মীদের বিবৃতি প্রদান করেন। বিবৃতিতে তারা এই ঘটনাকে একটি ন্যাক্কার জনক ও অমানবিক ঘটনা আখ্যায়িত করেন।
এ ব্যাপারে সুবর্ণ জয়ন্তীর উৎসবে দায়িত্বে থাকা কাথরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান চৌধুরীর মুঠোফোনে (০১৮১৯৩১৪৯২০) একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাথরিয়া বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন পরিষদের আহবায়ক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘কাথরিয়া বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৪ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র রেজাউল করিম মঞ্চে বক্তব্য প্রদান শেষে অসুস্থতাবোধ করে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব আনা হয়েছে এবং তার আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মুনাজাত করা হয়েছে।’ শোককে উপেক্ষা করে সুর্বণ জয়ন্তীর মঞ্চে গান ও নৃত্য অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘হাজারো ছাত্র-ছাত্রী অনেকদিন পর একত্রে মিলিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের আশা আকাঙ্খা বিবেচনা করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কতিপয় যুবক হিংস্যাত্মক মনোভাব নিয়ে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে।’
0 মন্তব্যসমূহ