মুহাম্মদ মহিউদ্দিনঃ
ডিজিটাল বাংলাদেশে এখনও সাঁকো দিয়ে মানুষ পারাপারের দৃশ্য দেখা যায়। সমগ্র বাংলাদেশ যেখানে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে কেবল অত্র ইউনিয়নে পুরো রাস্তাঘাটের অবস্থা ভিন্ন চিত্র । জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে। নেই কোন রাস্তাঘাটের মেরামত , সাকেঁা দিয়ে ঝুকিঁতে মানুষ পারাপার এটা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার । দেখবাল করার যেন কেও নেই। এখানেও সূর্য পূর্বদিকে উদিত হয় ,পশ্চিম দিকে অস্ত যায় কিন্তু ভাগ্য পরিবর্তনের নেই কোন আবাস। এই জনপদের জনপ্রতিনিধিরা রহস্যজনক ভাবে নিরব। ভোক্তবোগী স্থানীয়রা বলেছেন নির্বাচন আসলে জনপ্রতিনিধিরা আশা এবং প্রত্যাশার বাণী শুনায়। কেবল সে আশা এবং প্রত্যাশার বাণীই একমাত্র তাদের সম্বল।বর্ষা আসলে জীবন যাত্রার মান আরও কঠিন হয়ে পড়ে। এই দৃশ্যটি বাশঁখালী গন্ডামারা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ও ৯নং ওয়ার্ডের সংযোগস্থল।
সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে শত শত মানুষ,কোমলমতি স্কুল মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা। নেই কারও চিন্তা ভাবনা আর উদ্যোগ সাঁকোর পরিবর্তে ব্রিজ করার । এই যেন এক মগের মুল্লক । জবাবদিহীতা নেই জনগনের মুল্যবান ভোটের ।
স্থানীয় অধিবাসীদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা পড়েন দূর্যোগকালীন সময় আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে। ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আলী হায়দার চৈাধুরী বলেন জনগণের মুল্যবান ভোটের আমানত যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে আমি ব্যর্থ কারন একজন মেম্বারের ক্ষমতা টুকু আর কত ? যারা দেখবাল করার মহান দায়িত্ব নিয়ে আছে তারা নিরব।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ক্ষোভের কথাও লিখেছেন জনগণের সামনে গেলে লজ্জা লাগে। যে আশা এবং প্রত্যাশা নিয়ে আমাদের কে সাধারন জনগন নির্বাচিত করেছেন তাদের প্রত্যাশার জায়গায় আমরা কিছুই করতে পারছিনা।
0 মন্তব্যসমূহ