নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সন্ত্রাস চাঁদাবাজী, মিত্যা বানোয়াট মামলাবাজদের বিরুদ্ধে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও রেহায় পাচ্ছেনা ভোক্তবোগী বাশঁখালী চাম্বল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত ছিদ্দিক আহমদের পুত্র মোঃ মোরশেদুল আলম (৩৫)।গত ২৫/৮/১৯ইং তারিখ চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার বরাবর সন্ত্রাস চাঁদাবাজ এবং মিত্যা অভিযোগকারী মামলাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া এবং নিজেই পরিত্রান পাওয়ার জন্য (৭) জনের বিরুদ্ধে আবেদন করেন। অভিযোক্তরা হলেন (১) মোঃ ফারুক (৪৫) পিতা মৃত বুজরেছ (২) মোঃ ইলিয়াছ (৪৬) পিতা ঐ (৩) মো ঃ আজাদ (৪০) পিতা ঐ (৪) মোঃ পারভেজ(৫০) পিতা ঐ (৫) মোঃ শহিদ পিতা ঐ (৬) মোঃ মাসুদ (২২) পিতা পারভেজ (৭) মোঃ ফয়সাল পিতা পারভেজ । আবেদনের সত্যতা যাচাই জন্য তদন্ত দেন বাশঁখালী থানা পুলিশকে।গত ৯/১০/১৯ ইং তারিখ বাশঁখালী থানা পুলিশের এস আই ফারুকের তদন্ত প্রতিবেদনে ভোক্তভোগী মোঃ মোরশেদুল আলম মিত্যা বানোয়াট মামলার শিকারের সত্যতা মিলে। বিবরণে প্রকাশ ঃ ১০৩৩৮/২য় তাং-১৮/৯/১৯ ইং স্মারক মুলে তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ ফারুক সরেজমিনে তদন্ত পূবর্ক পুলিস সুপার বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমাদেন। সূত্রে বর্ননা অনুসন্ধানে জানাযায় অভিযোগের বিবাদীগনের পিতা জীবীত থাকাকালে বাশঁখালী থানা ১০ নং চাম্বল ইউনিয়নে চাম্বল বাজার সংলগ্ন একটি মসজিদ জবর দখল করিয়া নিজ দায়িত্বে খেয়াল খুশিমত পরিচালনা করে ।উক্ত মসজিদে দায়িত্ব নিয়া ও বাজারে কয়েকটি দোকান ঘর নিয়া দরকাস্তকারীর সাথে বিবাদীগনের সাথে দীর্ঘদিন হইতে দন্দ চলে আসিতেছে। বিবাদীগনের পিতা বুজরুছ মেহের বিগত( ৪) চার বছর পূর্বে তার প্রতিপক্ষরা গুলি করে হত্যা করে। উক্ত মামলায় দরকাস্তকারী ১ নং আসামি হয়ে বেশ কিছুদিন হাজতে ছিল। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে ১ নং বিবাদী মোঃ ফারুক বিরুদ্ধেও অনেক মামলা রহিয়াছে। বিবাদীগনের পিতা মারা যাওয়ার পর থেকে ১ নং বিবাদী মোঃ ফারুক এলাকায় একছত্র আদিপত্য বিস্তার করিয়া দরকাস্তকারী মোঃ মোরশেদুল আলম সহ তার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রায়সম হুমকি ধমকি দিয়ে থাকে। যার ফলে দরকাস্তকারী জামিনে মুক্তি পাওয়ার বিবাদীর বিরুদ্ধে বাশঁখালী থানায় একখানা ডায়রী করিলে উক্ত ডায়রী নং ৫২৯/১৯ তাং ১৪/০৪/১৯ ইং বরাবর এন্ট্রি হয়। যা পরবর্তীতে তদন্তক্রমে নন এফআইআর নং ৩০ তাং ৩০/০৪/১৯ ইং ধারা ৫০৬ দঃ বিঃ বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করা হয়। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়া চাম্বল এলাকায় বিভিন্ন নাশকতামুলক ঘটনা সংগঠন করে । যার ফলে বাশঁখালী থানায় রুজুকৃত বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা বাশঁখালী কোর্ড জিআর ৩৬/১৮ ধারা ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) চলমান রহিয়াছে। স্থায়ীভাবে অনুসন্ধানকালে বিবাধীগনের স্বভাব চরিত্র খুবই খারাপ বলিয়া জানাযায়। বিবাদীর বিরুদ্ধে চলমান মামলা বিজ্ঞ আদালত হইতে জামিনে মুক্তি থাকায় কোন প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় নাই। পরবর্তীতে বিবাদীদের কোন প্রকার সুনির্দিষ্ট অপরাধের তথ্য পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। কিন্তু যে লাউ সে খদু মামলা আর হামলা যেন তাদের নিত্য সঙ্গি। সাম্প্রথিক পুনরায় মোং মোরশেদুল আলম হুমকি ধমকিতে বিপর্যস্থ হয়ে গত ১৮/১২/১৯ইং তারিখ বাশঁখালী থানায় অভিযোগ করেন। বাশঁখালী থানার অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন আমি উভয় পক্ষকে ডেকেছি মিমাংস করার জন্য কিন্তু তারা সংবাদ সম্মেলন করে বসে। কি তাদের আসল উদ্দেশ্য তা বুঝতে পারছিনা। আর এই দিকে ভিকটিম মোঃ মোরশেদুল আলম বলেন আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করছি এসব সন্ত্রাস চাঁদাবাজ এবং মিত্যা অভিযোগকারীর মামলাবাজদের বিরুদ্ধে যেন আইনগত ব্যবস্থা নেন। তাদের এহেন অত্যচার সহ্য করতে পারছিনা এলাকায় বসবাস করাও অসম্ভব হয়ে পড়ছে বলে দাবি করেন। এই বিষয়ে বাশঁখালী থানা অফিসার ইনচার্জ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান মোঃ মোরশেদ আলমের অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ