নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাশঁখালী চাম্বল ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রবাসী সৈয়দ নুরের মেয়েকে উত্যক্ত করায় স্ত্রী নুর জাহান বাদী হয়ে গত ৮/০ ১/ ২০ ইং তারিখ বাশঁখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে নালিশী দরখাস্ত করেন। অভিযুক্ত হলেন ১। আহমদ নুর (৩১) পিতাঃ মাহবুব আলম ২। ফজল কাদের (৪২) পিতাঃ মৃত আব্দুল মজিদ, ৩। মোঃ জালাল উদ্দিন (৪০) পিতাঃ আজিজুর রহমান, ৪। ইমরান মাহমুদ (২৮) পিতা ঃ মৃত নুরুল হক সর্ব সাং ৩ নং ওয়ার্ড চাম্বল। ৫। মোঃ তৌহিদুল ইসলাম (৩৫) পূর্ব বড়ঘোনা ৮ নং ওয়ার্ড পিতাঃ মৃত আবু তাহের ।ঘটনার বিবরণে প্রকাশ ১ নং আসামী একজন নারী লোভী বখাটে বেকার ও বিভিন্ন মাদক সেবন সহ বেচা বিক্রয়ে জড়িত বলে অভিযোগ করেন। প্রবাসী মেয়ে হালিমা আকতার চট্টগ্রামস্ত সরকারী মহিলা কলেজের ছাত্রী তাকে দীর্ঘ সময় ধরে উত্যক্ত করে আসছিল আহমদ নুর। হালিমার বাবা প্রবাসে থাকায় ১ নং আসামীর বিরুদ্ধে কোনরুপ প্রতিবাদ করার সাহস করেনি। আসামীর এহেন জগন্য কর্মকান্ডের বিষয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিকে অবগত করলেও কোনরুপ প্রতিকার পাননি বলে দাবি করেন। এলাকায় কেন নালিশ দিল তার জন্য আরও ভীষন ক্ষিপ্ত হয়ে হালিমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এলাকার কিছু মানুষ মারফত ।
বিয়ের প্রস্তাবে হালিমা ও তার পরিবার প্রত্যাখ্যান করলে উল্টা ২০০০০০ ( দুই লাখ) টাকা চাঁদা দাবী করে। টাকা দিতে না পারলে হালিমাকে ১ নং আসামীকে বিয়ে দিতে হবে। আহমদ নুরের দাবীর সহিত ঐক্যমত না হওয়ায় বাদীকে হয়রানী উদ্দেশ্যে বাশঁখালী থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন বলেও অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিরোধেরর বিষয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংস করার জন্য বাশঁখালী থানা পুলিশ ইউপি সদস্য ২ নং আসামী ফজল কাদের কে দায়িত্ব দেন। ফজল কাদের মীমাংসের লক্ষ্যে সালীশকার নিয়োগের মাধ্যমে উভয় পক্ষ থেকে সালিশী এগ্রিমেন্টনামায় স্ব স্ব সাক্ষর নেন। বৈঠকের দিনক্ষণে ১ নং আসামী অভিযোগের দাবীর সমর্থনে কাগজ পত্র সাক্ষি উপস্থাপন করতে না পারায় সালিশী বৈঠক মুলতবি রাখা হয় । পরে ১ নং আসামী ও ২ - ৪ নং আসামীদেরকে বশিভুত করে ৩ নং আসামী ভাড়া বাসায় বিচারের নামে ডেকে নিয়ে জোর পূর্বক ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ৪ টি কার্টিজ ফরমে স্বাক্ষর আদায় করে। বাদীর সাক্ষর যুক্ত কার্টিজ ফরম নিয়া গুরুত্বপূর্ন জামানত মূল্যবান ডকুমেন্ট সৃজনের আসামীগণ হুমকী দিয়ে আসছে। এমটা অভিযোগ প্রবাসীর স্ত্রী নুর জাহানের। এই বিষয়ে স্থানীয় আসামী ইউপি সদস্য ফজল কাদের থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান বাশঁখালী থানায় আহমদ নুরের অভিযোগের ভিক্তিতে স্থানীয়ভাবে মীমাংসের জন্য তদন্ত পুলিশ পরিদর্শক কামাল উদ্দিন দায়িত্ব দিলে আমি বিচারের স্বার্থে উভয় পক্ষ থেকে কার্টিজ ফরমে স্বাক্ষর নিই। বাদীকে হুমকীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন কোন প্রকার হুমকী দেওয়া হয়নি।
0 মন্তব্যসমূহ