নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গুনাগরী চৌমুহনী বাজারে সকাল বিকেল যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে প্রতিদিনই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রী ও পথচারীদের।
যানজট নিরসনের জন্য গুনাগরী চৌমুহনীতে ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও সেই ট্রাফিক নামক লোকগুলির আনাগোনা কখনো দেখা যায় না বলে দায়ী করছেন এই এলাকার বাসিন্দা ও যানবাহন চালকেরা।
বাঁশখালী উপজেলার পটিয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী (পিএবি) সড়কের গুনাগরী চৌমুহনী বাজার দক্ষিণ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র। প্রতিদিন এই বাজারের ওপর দিয়ে বাঁশখালী, কক্সবাজার,পেকুয়ার ও সাতকানিয়া মানুষ চট্টগ্রাম শহরে ও আনোয়ারা কোরীয় রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (কেইপিজেড) কারখানার
হাজার শ্রমিক যাতায়াত করে, কিন্তু যানজটের কবলে পড়ায় বাজারের ওপর দিয়ে যাতায়াতকারীরা সীমাহীন কষ্ট পোহাচ্ছে। বিশেষ করে সকাল থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত যানজট লাগামহীন হয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্র জানায় এমনিতে রাস্তা যতটুকু আছে তার বেশ কয়েক ফুটপাত ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে দখল নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, ইদানিং প্রতিদিন
সকাল হইতে রাস্তার দুই পাশে ছোট ছোট ভ্যান গাড়ি নিয়ে ফুটপাত বসিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস বেচাকেনা ও অযোগ্য ট্রাক ডাইভারের গাদ্দারী এবং
গাড়ি পার্কিং করার কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয়। ওই সময় যানজটের কারণে বাজারের চার পাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ে যাতায়াতকারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
শহর থেকে নিজের কর্মস্থলে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে গুনাগরী প্রায়ই যানজটে আটকা পড়ি। এতে কষ্টের পরিমাণ বহুগুণ বেড়ে যায়।’
যানজট প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম শহর থেকে যাত্রী বহনকারী কয়েকজন বাস ও সিএনজি চালক দের সাথে কথা বললে চালকরা জানান সকাল থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে। এতে করে যাত্রী নিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়লেও কারো নজরদারি নেই।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেন আক্তার সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান গুনাগরী যানজট নিরসনের ব্যাপারটি মাথায় আছে, আশা করি অতি দ্রুত উক্ত সমস্যাটি সমাধান করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ