নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালিপুর ইউনিয়নের পালেগ্রাম চলিয়ার বর পুল এলাকায় সরকারী নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অবাধে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোলিয়াম(এলপি)গ্যাসের সিলিন্ডার।এসব সিলিন্ডার বিক্রির ফলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ। দেদারছে চলছে ফায়ার লাইসেন্সবিহীন এলপি গ্যাস। এ ব্যবসার নীতিমালা সম্পর্কে অনেক ব্যবসায়ীর নেই কোন ধারণা। অনেক ব্যবসায়ীরা তাঁদের মোদির দোকান, সিলভারের দোকানসহ অন্যান্য দোকানের সাথে চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের রমরমা বাণিজ্য। প্রশাসনের কোনরকম তদারকি না থাকায় এ ব্যবসায়ীরা এখন বেপরোয়া হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পাই উপজেলার কালিপুর ইউনিয়নের পালেগ্রাম চলিয়ার বর পুল সংলগ্ন বাড়ির সাথে লাগানো দোকানে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে। সেই দোকানের দেওয়ালের সাথে লাগানো বসবাসরত ঘরের রান্না করার চুল্লি, নেই কোন গ্যাস বিক্রির সরকারী লাইসেন্স।
এ বিষয়ে দোকানের পিছনে বসবাসরত বাড়ির মালিক দের সাথে কথা বললে তারা জানান আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ এই স্থানে বসত বাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসতেছি, এমত অবস্থায় আমাদের ঘরের পাশে স্থানীয় ছুর আহমদ স্থানীয় কিছু ব্যক্তি কে নিয়ে সরকারি ও মালিকানা জায়গার উপর অবৈধভাবে দোকান তৈরি করে বেপরোয়াভাবে নিয়ম নিয়ম কানুন তোয়াক্কার না করে অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, স্থানীয়রা আরো জানান উক্ত স্থানে দোকান ঘর তৈরি জায়গাটির ব্যাপারে ও স্থানীয়দের নিরাপত্তার জন্য গ্যাস ব্যবসায়ী জিসানের বিরুদ্ধে গণ সাক্ষার যুক্ত একটি অভিযোগ পত্র বাঁশখালি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রদান করা হলে তিনি যথাযথ ব্যবস্থতা গ্রহন করার জন্য পুলিশ প্রশাসন কে নিদর্শন প্রদান করেন।
কিছুদিন থেকে উক্ত দোকানগুলোতে সরকারের কোন রকম অনুমোদন লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছাড়াই চলছে এ ব্যবসা। ঐ সব দোকানে সিলিন্ডার ট্রাকযোগে পৌঁছে দেয় কোম্পানী। ঐসব সিলিন্ডারের গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্নের তারিখ প্রায় সময় দেখা যায়না। বছরের পর বছর পুরাতন হয়ে যাওয়া গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার হওয়ার পর গায়ের রং বিবর্ণ হতেও দেখা যায়। ঐ সব ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হওয়ায় বিপাকে ও আতঙ্কে সাধারন মানুষ।
এ বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন দ্রুত এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
0 মন্তব্যসমূহ