মোহাম্মদ এরশাদঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১০ দিনব্যাপী ২০তম আন্তর্জাতিক ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা উদ্বোধন বর্ণাঢ্য মহাশোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। তিন বছর অন্তর অন্তর এই ঋষিকুম্ভ মেলা অার্ন্তজাতিকভাবে অনুষ্টিত হয়। প্রতিবারের ন্যায় কয়েক লক্ষাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণে মূখরিত থাকে এ মেলা।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারীর) সকাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক (এমপি) ও উদ্বোধন করেন বাঁশখালী থেকে দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী (এমপির) পরিশর্দনের মধ্য দিয়ে ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভ মেলার শুভ সূচনা হয়।
বাঁশখালী উপজেলার গুনাগরিস্থ ঋষিধাম ও তুলসীধামে ১০দিন ব্যাপী মেলায় দেশের ও বিদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের স্বতঃস্ফূর্ত সমাগম ঘটে থাকে।
বাঁশখালী উপজেলার গুনাগরিস্থ ঋষিধাম ও তুলসীধামে ১০দিন ব্যাপী মেলায় দেশের ও বিদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের স্বতঃস্ফূর্ত সমাগম ঘটে থাকে।
অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য মহাশোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেনা আক্তার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল বশিরুল ইসলাম, কালিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ.ন.ম শাহাদাত আলম, মেলা উদযাপন কমিটির আহবায়ক দেবাশীষ পালিত, যুগ্ম আহবায়ক তপন কান্তি দাশ, ভুপাল গুহ, যুগ্ম সদস্য সচিব শ্যামল দাশ, আশীষ কুমার শীল, অলক দাশ, তাপস কুমার নন্দী, অর্থ সচিব তড়িৎ কান্তি গুহ, ঝন্টু কুমার দাশ, সাবেক বাঁশখালী পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রদীপ গুহ প্রমুখ।
র্যালী শেষে বাঁশখালীর ঋষিধাম ও তুলসীধামের মোহন্ত মহারাজ শ্রীমৎ স্বামী সুদর্শানন্দ পুরী মহারাজ বলেন- "গুরুজীর আর্শিবাদে অনুষ্ঠিত মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গুরর কৃপায় সকলের আন্তরিক উপস্থিতি ও সহযোগীতায় আশারাখি বিংশতম আন্তর্জাতিক ঋষিকুম্ভ ও ঋষিকুম্ভ মেলা সকল ভক্তদের মিলন মেলায় পরিণত হবে। কারণ বাংলাদেশের আর কোন জেলায় বা উপজেলায় এই মেলা হয় না। এই মেলায় সকল প্রকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে, যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয়।"
উল্লেখ্য, প্রথম দিবস ফেব্রুয়ারী ভোরে মঙ্গল আরতি ও জয়গানে মঙ্গল আহবান, জাতীয় পতকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য মহোশোভাযাত্রা, শ্রী শ্রী গুরু মহারাজের পূজা, অতিথিশালার শুভ উদ্বোধন, শ্রী শ্রী গুরু মহারাজের ভোগরাগ ও সমবেত প্রার্থনা, মহাপ্রসাদ বিতরণ, শ্রীমদ্ভগবদগীতা পাঠ, ভক্ত সম্মেলন ও অদ্বৈত সঙ্গীতাঞ্জলি, দশমহাবিদ্যা পূজার অধিবাস, মহাপ্রসাদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে।
0 মন্তব্যসমূহ