মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিনঃ
বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় ছনুয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৪৭ সালে স্থাপিত হওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে গৌরবোজ্জল ইতিহাস। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে নানা অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের কারণে বর্তমানে এ স্কুলে নেমে এসেছে ফলাফল বিপর্যয়। সদ্য প্রকাশিত জেএসসি ফলাফলে ওই স্কুলে পাশের হার ৫৬.৭৭%। এ নিয়ে চরম হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্কুলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
সচেতন মহলের অভিযোগে জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এ বিপর্যয় সকলের নজরে আসে। ২৩৪ জন শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। তারমধ্যে কৃতকার্য হয় ১৩০ জন ও অকৃতকার্য হয় ১০৪ জন শিক্ষার্থী।কৃতকার্য ১৩০ জনের মধ্যে শুধুমাত্র ৬ জন পেয়েছে 'এ' গ্রেড। বাকি ১২৪ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। যা প্রতিষ্ঠানটির এ যাবতকালের সবচেয়ে খারাপ ফলাফল বলে জানা গেছে। বাঁশখালী উপজেলার ২৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ফলাফলের বিচারে ২৭তম ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া গতবছরের তুলনায় পাশের হারও কমেছে। এসএসসির ফলাফলেও একই অবস্থা বিরাজমান বলে জানান স্কুলটির অভিভাবক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
মোজাম্মেল হক,শাহ আলমসহ কয়েকজন অভিভাবক জানান, ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। কিন্তু পড়াশোনার মান বাড়েনি বিন্দু পরিমাণ। সচেতন মহলের এব্যাপারে আগ্রহ থাকলেও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং প্রধান শিক্ষকের খামখেয়ালিপনায় তা সম্ভব হয়নি বিধায় ফলাফলের এ বিপর্যয়।
প্রাক্তন ছাত্র আলী আকবর , আবদুর রহমান ও মোহাম্মদ রিয়াজ বলেন,"২০০১ সালে ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন মোঃ হোসাইন শরীফি। তখন থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে চলছে চরম বিশৃংখলা পরিবেশ। বিভিন্ন অনিয়মে চলছে স্কুলটির কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা টিফিনের ছুটিতে পালিয়ে গেলেও; ব্যবস্থা নেয় না স্কুল কর্তৃপক্ষ।" এমনটি অভিযোগ অভিভাবকদের। তাই প্রতি সরকারী পাবলিক পরীক্ষায় ভরাডুবি ঘটেছে ফলাফলে। জিপিএ-৫ পাচ্ছে না কোন পরীক্ষার্থী।
জানতে চাইলে ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হোসাইন শরীফি বলেন, আমি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ছাত্র ছাত্রী বৃদ্ধি
নতুন ভবন বৃদ্ধি, স্কুল মাঠে গাছের চারা রোপণ, শিক্ষক বৃদ্ধি,
কারিগরি এমপিও ভুক্তকরণ,স্কুলের আয় বৃদ্ধির জন্য স্কুল মার্কেটের খালি জায়গায় দোকান বৃদ্ধি করেছি।"
শিক্ষার মান কেমন বেড়েছে? উনার সফলতা কতটুকু ছিল- এমন প্রশ্নে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের সভাপতি এম. ছরওয়ার আলম বলেন,"আমাদের ছোট বেলার স্মৃতি বিজড়িত স্কুলটির জেএসসি’র পাশের হার ৫৬.৭৭%। যা অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়। আমি ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে জেএসসিতে ফলাফল বিপর্যয়ের বিষয়টা আলোচনায় বসব।"
ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে আছেন সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হক চৌধুরী। জানতে চাইলে তিনি বলেন, "শিক্ষার্থীদের আধিক্য ও অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে ফলাফলে পিছিয়ে পড়েছে স্কুল। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণে আমরা সব রকমের চেষ্টা চালাচ্ছি।"
এব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, "আমি বাঁশখালীর প্রত্যেক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন মনিটরিং করি। এরপরেও কেন স্কুলটি পিছিয়ে রয়েছে ;তা বলতে পারি না। কোন স্কুল কততম হয়েছে তা আমরা তালিকা করিনি। শিক্ষকদের পাঠদানের বিষয়টা খতিয়ে দেখব।"
সচেতন মহলের অভিযোগে জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এ বিপর্যয় সকলের নজরে আসে। ২৩৪ জন শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। তারমধ্যে কৃতকার্য হয় ১৩০ জন ও অকৃতকার্য হয় ১০৪ জন শিক্ষার্থী।কৃতকার্য ১৩০ জনের মধ্যে শুধুমাত্র ৬ জন পেয়েছে 'এ' গ্রেড। বাকি ১২৪ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। যা প্রতিষ্ঠানটির এ যাবতকালের সবচেয়ে খারাপ ফলাফল বলে জানা গেছে। বাঁশখালী উপজেলার ২৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ফলাফলের বিচারে ২৭তম ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া গতবছরের তুলনায় পাশের হারও কমেছে। এসএসসির ফলাফলেও একই অবস্থা বিরাজমান বলে জানান স্কুলটির অভিভাবক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
মোজাম্মেল হক,শাহ আলমসহ কয়েকজন অভিভাবক জানান, ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। কিন্তু পড়াশোনার মান বাড়েনি বিন্দু পরিমাণ। সচেতন মহলের এব্যাপারে আগ্রহ থাকলেও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং প্রধান শিক্ষকের খামখেয়ালিপনায় তা সম্ভব হয়নি বিধায় ফলাফলের এ বিপর্যয়।
প্রাক্তন ছাত্র আলী আকবর , আবদুর রহমান ও মোহাম্মদ রিয়াজ বলেন,"২০০১ সালে ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন মোঃ হোসাইন শরীফি। তখন থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে চলছে চরম বিশৃংখলা পরিবেশ। বিভিন্ন অনিয়মে চলছে স্কুলটির কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা টিফিনের ছুটিতে পালিয়ে গেলেও; ব্যবস্থা নেয় না স্কুল কর্তৃপক্ষ।" এমনটি অভিযোগ অভিভাবকদের। তাই প্রতি সরকারী পাবলিক পরীক্ষায় ভরাডুবি ঘটেছে ফলাফলে। জিপিএ-৫ পাচ্ছে না কোন পরীক্ষার্থী।
জানতে চাইলে ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হোসাইন শরীফি বলেন, আমি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ছাত্র ছাত্রী বৃদ্ধি
নতুন ভবন বৃদ্ধি, স্কুল মাঠে গাছের চারা রোপণ, শিক্ষক বৃদ্ধি,
কারিগরি এমপিও ভুক্তকরণ,স্কুলের আয় বৃদ্ধির জন্য স্কুল মার্কেটের খালি জায়গায় দোকান বৃদ্ধি করেছি।"
শিক্ষার মান কেমন বেড়েছে? উনার সফলতা কতটুকু ছিল- এমন প্রশ্নে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের সভাপতি এম. ছরওয়ার আলম বলেন,"আমাদের ছোট বেলার স্মৃতি বিজড়িত স্কুলটির জেএসসি’র পাশের হার ৫৬.৭৭%। যা অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়। আমি ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে জেএসসিতে ফলাফল বিপর্যয়ের বিষয়টা আলোচনায় বসব।"
ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে আছেন সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হক চৌধুরী। জানতে চাইলে তিনি বলেন, "শিক্ষার্থীদের আধিক্য ও অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে ফলাফলে পিছিয়ে পড়েছে স্কুল। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণে আমরা সব রকমের চেষ্টা চালাচ্ছি।"
এব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, "আমি বাঁশখালীর প্রত্যেক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন মনিটরিং করি। এরপরেও কেন স্কুলটি পিছিয়ে রয়েছে ;তা বলতে পারি না। কোন স্কুল কততম হয়েছে তা আমরা তালিকা করিনি। শিক্ষকদের পাঠদানের বিষয়টা খতিয়ে দেখব।"
0 মন্তব্যসমূহ