মোঃ মনছুর আলম (এম আলম):
গত ২১ জানুয়ারী মঙ্গবলবার চট্টগ্রামের বহুল প্রচারিত দৈনিক পূর্বদেশের ১ম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত একটি সংবাদকে কেন্দ্র করে এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। চট্টগ্রাম জেলার আলোচিত ও পর্যটন সম্ভাবনাময় বাঁশখালী উপজেলার ৩নং খানখানাবাদ ইনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মোঃ বদরুদ্দিন চৌধুরী'র বিরুদ্ধে এই সংবাদটি প্রকাশিত হয়। এটি প্রকাশের পরপরই সৃষ্টি হয় এলাকা জুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড়।
অনুসন্ধানে, বদরুদ্দিন চেয়ারম্যান হওয়ার আগে থেকেই অর্থ্যাৎ বিগত ২০০৪ সাল থেকে মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসাবে ঠিকাদারী করে আসছেন, সেই সাথে তখন থেকেই পার্শ্ববর্তি ইউনিয়নের সারের ডিলারশিপ নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। এছাড়াও ঐ সংবাদে উল্লেখিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫৬ লক্ষ টাকার কাজটি অন্য আরেকটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করলেও চেয়ারম্যান বদরুদ্দিন আন্তরিকতার সাথে তদারকি করতেন। তিনি ব্যবসায়ীক কাজে দেশের বাহিরে গেলেও উপর মহল থেকে অনুমতি নিয়ে একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার এনামুল হক'কে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়ে যান বলে জানা যায়।
এলাকার সচেতন মহলের মতে, চেয়ারম্যান বদুরুদ্দিন চৌধুরী'র জন সমর্থন ও জন প্রিয়তা দেখে কিছু স্বার্থন্বেসী মহল হেও প্রতিপন্ন সহ জনপ্রিয়ত হ্রাস করার অপচেষ্টায় এমন উদ্ভট অভিযোগ সহ সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছেন। এই মহল স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজের যোগসাজশে এমন অপ্রাসঙ্গিক অভিযোগ তুলছেন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। চেয়ারম্যান বদরুদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ সহ মানহানীকর খবর প্রকাশ করায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী। এছাড়াও অভিযোগকারী আবু হেনা খোকন এলাকায় থাকে না। এলাকা ও এলাকার মানুষের সাথে তার নেই কোন সু-সম্পর্ক। তার বিভিন্ন সমাজবিরুধী কর্মকাণ্ডে এলাকার মানুষ রীতিমত অতিষ্ঠ। শুধু তাই নয়, তিনি প্রতারক প্রকৃতির লোক বলে এলাকায় হাত তোলা জনশ্রুতি রয়েছে। বিগত সময়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের রোষানলে পড়ে এলাকা বিতাড়িত হতে হয়েছেও প্রায়স। কিন্তু এর পরেও তার পুরনো খোলস পাল্টাতে পারেনি। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি এখন শহরে নির্দিষ্ট আস্তানায় বসে নানা অজুহাত দেখিয়ে এলাকার নিরীহ মানুষ সহ বিভিন্ন দপ্তরে ফোন করে অনৈতিক সুবিধা আদায় করে। এধরণের তার কিছু অনৈতিক আবদার ও তার মর্জি মতে খায়েস মিঠাতে না পারায় এলাকার জনপ্রিয় ঐ চেয়ারম্যানের পেছনে লাগতে গিয়ে এখন পরিস্থিতি বেগতিক। উল্টো এলাকাবাসী এই প্রতারকের উপর চরম ক্ষিপ্ত। এই মিথ্যা অভিযোগ ও সংবাদ প্রকাশে যেকোন মুহূর্তে গণধোলায়ের শিকারের সম্ভাবনা বিরাজমান।
এলাকাবাসী জানান, চেয়ারম্যান বদরু উদ্দিনের আমলে যা উন্নয়নের ছোয়া পেয়েছেন, সেই পরিমান উন্নয়ন বিগত সকল সাবেক চেয়ারম্যানের আমলেও দেখেন নি। এছাড়াও, তিনি সবসময় এলাকার দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
এই
ব্যাপারে অভিযোগকারী আবু হেনা খোকন বাঁশখালী নিউজকে বলেন, বাঁশখালী
উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ বদরু উদ্দিন এর
বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ সহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের
করেন। বিষয়টি তিনি মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেন।
অভিযোগের বিষয়ে দৈনিক পূর্বদেশ সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারী স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব স্বাক্ষরিত তদন্তের নির্দেশিত চিঠি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে অভিযোগের ব্যাপারে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বাঁশখালী নিউজকে বলেন, বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের বিষয়ে উপর থেকে কোন চিঠি কিংবা নির্দেশনা পাননি তিনি। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, খানখানাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে কিছু জানেন না।
এই বিষয়ে চেয়ারম্যান মোঃ বদরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, লোকমুখে শুনেছেন তার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এই অভিযোগ কোথায় দেওয়া হয়েছে, কেন ও কখন করেছে এবং কে করেছে এসব বিষয়ে কখনো কোন নোটিশ কিংবা সঠিক তথ্য তিনি পাননি। তবে গত ২১ জানুয়ারী দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত মিথ্যা, ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত এবং মানহানিকর প্রকাশিত একটি সংবাদে জানতে পেরেছেন, লোকমুখে শুনা তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা অভিযোগের বাদী আবু হেনা খোকন নামের এক ব্যক্তি। এছাড়াও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়মবহির্ভূত ভাবে দেশের বাহিরে যাননি তিনি। তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট মানহানীকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবী করেন।
0 মন্তব্যসমূহ