মোঃ মনছুর আলম (এম আলম):
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা থেকে কুতুবদিয়া দরবারে শরীফের ওরশে যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে ৩ জন নিহত, ১ জন নিখোঁজ সহ ৩০ জন আহত হয়েছে।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা থেকে কুতুবদিয়া দরবারে শরীফের ওরশে যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে ৩ জন নিহত, ১ জন নিখোঁজ সহ ৩০ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯ টায় কাথরিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বাগমারা চুনতী বাজার ব্রীজ থেকে দরবার শরীফের উদ্দ্যোশে রওনা হলে ১শ গজ দক্ষিনে বেদখলীর টেক এলাকায় পৌঁছলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে নৌকাটিতে থাকা কাথরিয়া দক্ষিন বাগমারা এলাকার ছমিয়া বাপের বাড়ী মৃত রৌশনুজ্জানের পুত্র ওমান প্রবাসী মোঃ আক্কাছ (২৮)। এতে নিঁখোজ হয় কাথরিয়া দক্ষিণ বাগমারা ১ নং ওয়ার্ডের আইদ্দারখীল এলাকার আমান উল্লাহর পুত্র মোঃ মিনহাজ (৯)। সে কে.বি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের ৩য় শ্রেনীর অধ্যয়নরত ছাত্র। অপর দিকে খানখানাবাদ ইউপির রায়ছটা গ্রামের মৃত মােহাম্মদ ইদ্রিস এর পুত্র আব্দুল মালেক সহ একই ইউনিয়নের কদমরসুল গ্রামের মােহাম্মদ জালাল এর মৃত্যু হয়।
এ দিকে আহতদের স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করে তাদের কে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ৩ জনের মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুতুবদিয়া দরবার শরীফের ওরশে যাওয়ার জন্য চুনতী বাজার থেকে স্থানীয় মৃত মোঃ ইউসুপ এর পুত্র মোঃ জাহিদুল ইসলাম নিজের ফিশিং নৌকাটি নিজে চালিয়ে একটু রওনা হলেই ঘটনাস্থলে উল্টে যায়।
নিহত আক্কাছের ভাগিনা মোঃসাগর,চাচাতো ভাই নুর উদ্দীন,মোঃ মাইমুন জানান,নিহত আক্কাছ ওমান প্রবাসী। তার এক পুত্র সন্তান রয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী সে আবারো ওমান ফিরে যাওয়ার জন্য কথা রয়েছিল।
নিহত আব্দুল মালেক এর পরিবার জানান, অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করে জীবনযাপন করে আসছিল। তার একটি মাত্র পুত্র সন্তান রয়েছে। আব্দুল মালেকই ছিল তাদের পরিবারের শেষ সম্ভল। আব্দুল মালেকের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তার স্ত্রী-সন্তান সম্পূর্ণভাবে দিশাহারা হয়ে পড়ছেন।
নিঁখোজ মিনহাজের বাবা আমান উল্লাহ জানান, আমরা চুনতী বাজার থেকে কুতুবদিয়া দরবারে ওরশে যাওয়ার জন্য চুনতী বাজারের ব্রীজ থেকে ছেলে কে নিয়ে রওনা হই। প্রতি মধ্যে ফিশিং নৌকাটি ১শ গজ যেতেই ডুবে যায়, এতে আমার ছেলে নিঁখোজ হয়ে যায়। এখন ও ছেলেকে পাচ্ছি না।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ইসতায়াক খালেদ জানান, আক্কাছ, আব্দুল মালেক ও জালালকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন বৈষ্ণব জানান, খবর পেয়ে আমি সহ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা হই। আমরা নিঁখোজ ছেলেটিকে উদ্ধার করার জন্য চট্টগ্রাম শহর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি একটি টিম ইতিমধ্যে বাঁশখালীর দিকে রওনা হয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার জানান, ফিশিং নৌকা ডুবে ৩ জন নিহত হওয়ার খবর পেয়ে উদ্ধার কাজ চালাতে ঘটনা স্থলে থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের টিম রয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ