নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গত ১০ ফেব্রুয়ারী বিকাল ২টার দিকে চকরিয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎ ও শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানীরও অভিযোগ রয়েছে। ওইদিনেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার এএসআই জেডাউর রহমান বলেন, উপজেলা হারবাং ইউনিয়নের মুসলিমপাড়ার মৃত মাওলানা উমরের পুত্র সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী বাদী হয়ে গত ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৩৭১/১৯। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে আদালত। ১০ ফেব্রুয়ারী বিকাল ২টার দিকে গোপন সংবাদ পেয়ে রামু উপজেলার গর্জনীয় এলাকা থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলো। তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মৌলানা সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি গত ২০২৩ সালের ২২ জুলাই গর্জনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় যোগদানের পর থেকে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি, বিভিন্ন অনিয়ম, সীমাহীন দূূর্নীতি, চরম স্বেচ্ছাচারিতা এবং নৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের এই সকল কর্মকান্ডের প্রতিবাদে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবীতে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষাথী এবং অভিভাবক ও এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও বহাল তবিয়তে অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমইে মাদ্রাসা পরিচালনা করে যাচ্ছিলেন তিনি। এত কিছুর পরও কোন অদৃশ্য ক্ষমতা বলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা সাইফুল ইসলাম তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এই নিয়ে স্থানীয় সকল মহলের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও তীব্র সমালোচনা দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবকমহল ও শিক্ষার্থীরা দূর্নীতিবাজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের শাস্তির দাবী করেন।
0 মন্তব্যসমূহ