ঘূর্ণিঝড় ‘আস্পান’: বাঁশখালীতে খুলে দেওয়া হয়েছে সবকটি আশ্রয়কেন্দ্র

নিউজ ডেস্কঃ
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই তৈরি হয়েছে আরেক দুর্যোগের আশঙ্কা। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ এখন অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতিপ্রবল বেগে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’র ঝুঁকি এড়াতে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি অফিস।

ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি এড়াতে  কন্ট্রোল রুম ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড আম্ফানের প্রভাবে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ৫ শতাধিক ফিশিং বোট নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। 

এব্যাপারে বুধবার (২০ মে) সকালে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেনা আক্তার জানান,   আম্ফান’র ঝুঁকি এড়াতে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। অন্তত ৩০ হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। তাছাড়া উপকূলীয় এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুর থেকে মাইকিং করে সতর্কতা জারি করে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ 

বাঁশখালী উপজেলা ঘূর্ণিঝড় অফিসের রেডিও অপারেটর মিঠু কুমার দাশ জানান, ‘উপজেলার পুকুরিয়া, খানখানাবাদ, বাহারছড়া, কাথারিয়া, সরল, শীলকূপ, গন্ডামারা, শেখেরখীল, পুঁইছড়ি, ছনুয়া ইউনিয়নকে উপকূলীয় অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ১০টি ইউনিয়নে নিযুক্ত ১ হাজার ৬৫ জন প্রশিক্ষিত সিপিপি’র সেচ্ছাসেবক যে কোন আহুত পরিস্থিতির ঝুঁকি এড়াতে প্রস্তুত রয়েছেন। স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক করতে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে মাইকিং করা অব্যাহত রাখা হয়েছে এবং সংকেত পতাকা ৩টি উত্তোলন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সচল ১০২টি আশ্রয় কেন্দ্রের সবক’টি কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত স্কুল ও কলেজের ভবন আশ্রয় কেন্দ্রের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।’ 

বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন বৈষ্ণব বলেন, ‘আহুত ঘূর্ণিঝড় আম্ফান প্রস্তুতি ও পরিস্থিতিতে ঝুঁকি এড়াতে আমার টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত।’ 

অতি প্রবল বেগে শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বাংলাদেশ উপকূলে আজ আঘাত আনতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। সকাল ১০টায় আবহাওয়া অফিস মোংলা ও পায়রায় বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার বিপরীতে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। 

বাঁশখালী উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি অফিস সতর্কতা জারি করে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন সমুদ্রে থাকা জাহাজগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে থেকে অবস্থান গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 
/পূর্বকোণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ