ডেস্ক নিউজঃ
সারাদেশ যখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে দিন দিন স্থবির হয়ে পড়ছে সেখানে কতিপয় অতি উৎসাহী ক্রেতা ও বিক্রেতার কারণে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির আশংকা করছে সাধারণ ও সচেতন জনগণ।
অপরদিকে বাঁশখালীতে করোনা রোগী পাওয়ায় গত ১৭ এপ্রিল থেকে পুরো উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও তা না মানার অভিযোগ রয়েছে।
ইতিমধ্যে বাঁশখালীতে ২০ এপ্রিল সাধনপুরের বৈলগাঁওতে এবং ১৮ মে পৌরসভার জলদিতে যে দু’জন মারা যায় তারা, বাঁশখালী হাসপাতালের ২ ডাক্তার সহ ১৮ জন করোনা পজিটিভ হয়েছে বাঁশখালীতে।
মঙ্গলবার (১৯ মে) উপজেলা ও থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ কোনো প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে না আসার জন্য কঠোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
তারপরও উপজেলা সদরে সামান্য নিয়মনীতি মানা হলেও বাঁশখালীর অভ্যন্তরীণ অধিকাংশ দোকানপাটে কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই চলছে কেনাকাটা। ফলে সাধারণ সচেতন জনগণ শঙ্কিত হয়ে পড়েছে এভাবে সামাজিক দূরত্ব না মেনে ব্যবসা চলায়।
হাতেগোনা দু’একটি দোকানে প্রবেশের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হলেও বেশির ভাগ দোকানে স্বাস্থ্যবিধির কিছুই মানা হচ্ছে না। কাপড়ের মার্কেটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই সাধারণ মানুষ ঈদের কেনাকাটা করছে। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে ও অন্যকেও ঝুঁকিতে ফেলছে তারা।
সচেতন মহলের দাবি, এখনি যদি এসব মার্কেট এবং দোকানগুলো বন্ধ করা না হয় তাহলে এই উপজেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বহুগুণ বেড়ে যাবে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, “সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা অবিরাম মাঠে রয়েছি। অথচ জনগণ কোনো নিয়মনীতি মানতে চাইছে না। আজ আবারও ঘোষণা করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেনা আক্তার বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে অনেক দোকানদারকে জরিমানাও করেছি। সবচাইতে বড় কথা হচ্ছে নিজেদেরই সচেতন হতে হবে। এছাড়া প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করছে। তারপরও যারা সামাজিক দূরত্ব না মেনে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
/আজাদী।
0 মন্তব্যসমূহ