ঈদের দিনেও বাহারছড়ায় দুই পক্ষের হামলায় নিহত ১ আহত ১০

বাঁশখালী সংবাদদাতাঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারচড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের রত্নপুর গ্রামে বুদা গাজী তালুকদার পাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতি পক্ষের হামলায় একজন খুন হয়েছে। সোমবার (২৫ মে) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক মাওলানা মোঃ এরফান (৩৬) রত্নপুর বুদা গাজী তালুকদার বাড়ীর নুরুল ইসলামের পুত্র। সে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা এলাকায় মুদির ব্যবসা করতেন বলে জানা যায়। 

স্থানীয় ও নিহতের পারিবার সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় দুদু মিয়ার পুত্র মোঃ কালুর সাথে  জমি নিয়ে নিহত মাওলানা এরফানের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ঈদের দিনই বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে এক পক্ষ অপর পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপযার্য়ে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় মাওলানা মোঃ এরফানকে গুরুতরভাবে ছুরিকাঘাত করায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে  মৃতু বলে ঘোষণা করে। 

অপর দিকে আহত হয় অন্তত আরো ১০ জন। আহতরা হলেন, একই এলাকার মৃত ফজল আহমদ পুত্র জাফর আহমদ(৫৫) , মোঃ এমরান (২৮), গিয়াস উদ্দীন (২৬), আশেক (২৫), আবু মুসা(৬০), মোঃ ইউনুস(৪৫)। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত আলী আহমদের পুত্র মুন্সি আলম (৫৫) ও মোঃ ইদ্রিস (৬০) কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক)কে প্রেরণ করা হয়েছে। 
উক্ত ঘটনায় ঘটনাস্থ থেকে ১) মোঃ দেলোয়ার হোসেন, ২) মোঃ অারকান সহ মোট ৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেন। 

নিহত এরফানের ভাগিনা মোঃ রাশেদুল ইসলাম জানান, আমার মামা নিহত এরফানের সাথে একই এলাকার মোঃ কালুর সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ  জমি নিয়ে ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিরোধ চলে আসছিল। পবিত্র ঈদের এই দিনে ৮০ গ্রুপ নামের এলাকার একটি সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট আমার মামাকে চতুর্দিকে ঘিরে দেশীয় তৈরী রাম দা, কিরিছ দিয়ে কুপিয়ে আহত করে,এ সময় মামাকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে মোঃ কালু ও মোঃ নুর উদ্দীনের নেতৃত্বে তারা গুলি চালায়। এতে ১০ জন আহত হয়।

এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ হীরক কুমার পাল জানান, রত্নপুর এলাকায় সংঘর্ষে নিহত মাওলানা এরফান কে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরো ২জনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাদের কে চট্টগ্রাম চমেকে হাসপাতালে প্রেরন করেছি। অন্যান্য আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই যুবককে খুন করা হয়েছে বলে ধরণা করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কি কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত সাপেক্ষ বলা যাবে।
 নিহত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা যায়

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ