মুহাম্মদ শাহেদঃ
অনলাইনে প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে সংগঠিত করা হয় বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাহারচড়া রত্নপুর উচ্চ বিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই। স্কুলের স্মৃতিচারণ ভিত্তিক অনলাইন গ্রুপ খুলে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীবৃন্দ পরস্পর পরিচয়, ভাব বিনিময় ও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা শুরু করে। আলোচনার এক পর্যায়ে, মার্চের দিকে এলামনাই এসোসিয়েশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রাথমিক অবস্থায় ব্যাচভিত্তিক একত্রিত হওয়া। হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে এর দ্রুত বিস্তার হতে থাকে।
এবং মার্চের শেষের দিকে বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংক্রমণ বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ে এবং লকডাউনের সরকারী ঘোষণা আসে। এপ্রিলের শুরুর দিক থেকে সাধারণ জনগণের মাঝে দুর্ভোগ দেখা দিতে শুরু করে।
এলাকার মানুষ ও দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে এপ্লিলের মাঝামাঝি সময়ে এই বাহারচরা রত্নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব জসিম উদ্দিন এবং সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব হামিদুর রহমান ওয়াহিদ বিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের পরিবার ও ইউনিয়নের হতদরিদ্র্য পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়ে আলোচনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে তাদের উদ্যোগের কথা এলামনাই গ্রুপের মধ্যে শেয়ার করেন।আর এই সিদ্ধান্ত স্কুলের সিনিয়র -জুনিয়র সবাই সানন্দে গ্রহণ করেন। সকলে অংশগ্রহণ ও আন্তরিকতার সহিত কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার অভিমত ব্যক্ত করেন। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সর্বপ্রথম প্রত্যেক ব্যাচের প্রতিনিধি নির্ধারণ করা হয়।ব্যাচ প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ এবং ব্যাচের অনুদান সংগ্রহের কাজে লেগে পড়েন। আর এসব কাজের সমন্বয় সাধনের জন্য একটি দশ সদস্যের সেচ্ছাসেবক টীম গঠন করা হয়।
এই স্বেচ্ছাসেবকরা হলেন যথাক্রমে ওবায়দুর রহমান শহিদ, মোহাম্মদ বোরহান, গিয়াস উদ্দিন, অানিসুর রহমান, আশরাফ উজ জামান ( রাসেল), কাজী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, শাহিদুল অালম মিনহাজ, মাঈনুল মন্নান, মাসুদ হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে নেজাম উদ্দীন, মোরশেদুল আলম, এম এ করিম, হানিফ মোহাম্মদ ফরহাদ, রায়হান উদ্দীন সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের ব্যাচভিত্তিক অনুদানের পাশাপাশি অন্যতম উদ্যোক্তা জসিম উদ্দিনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কিছু ডোনেশন সংগ্রহ করা হয়। ছোট পরিসরে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে এ কার্যক্রম ব্যপ্তি লাভ করায় প্রায় ৬৭০ টি পরিবারে পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হয়। উপহার সামগ্রী ক্রয়, প্রস্তুত, তালিকা তৈরিসহ বিতরনের প্রত্যেকটি কাজ স্বেচ্ছাসেবক দল দক্ষতার সহিত সম্পন্ন করেন।এ দলকে সার্বক্ষণিকভাবে প্রাক্তন সিনিয়র শিক্ষার্থীবৃন্দ সহযোগিতা এবং পরামর্শ প্রদান করেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারী নানা দায়িত্বে ব্যস্ততার মাঝেও জসিম ভাই এবং হামিদ ভাই সার্বিক দিকনির্দেশনা, মনিটরিং ও সহযোগিতা প্রদান করেন। একটি মহৎ কাজের মাধ্যমে এই এলামনাইয়ের যাত্রা শুরু হলো।ভবিষ্যতে এলাকার ও এলাকার মানুষের উন্নয়নের কাজে এ এলামনাইয়ের সম্মিলিত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
(প্রেস রিলিজ)
0 মন্তব্যসমূহ