মোহাম্মদ এরশাদঃ
বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রাম। এক সময়কার শান্ত ও সুন্দর পরিবেশে গড়ে ওঠা এলাকাটি অশান্ত হয়ে উঠে ইটভাটা স্থাপনের পর।
মঙ্গলবার (১২ মে) রাতে স্থানীয় মসজিদে তারাবি নামাজ পড়ে সবাই রাস্তায় বসে আড্ডা দিচ্ছিল।এমন সময় অতর্কিত গুলিতে লুটিয়ে পড়ে পটিয়া বড় মাদ্রাসার ছাত্র খালেদ বিন ওয়ালিদ(২৫) এবং হাফেজ মোহাম্মদ ইব্রাহিম (২১)।
গুলির শব্দের কারণে কেউ সেখানে যাওয়ার সাহস না পেলেও পরে পুলিশ এসে আহত দু’জনকে গভীর রাতে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে নেছার আহমদের পুত্র খালেদ বিন ওয়াজিদকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ সময় পটিয়া বড় মাদ্রাসার অপর ছাত্র একই ঘরের আবু সালেকের পুত্র হাফেজ মোহাম্মদ ইব্রাহিম(২১)কে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে সেখানে আজ বুধবার (১৩ মে) বিকালে ইব্রাহিমের মৃত্যু হয়।
এদিকে বুধবার দুপুরে ইলশা গ্রামে গিয়ে দেখা যায় পৃথক পৃথক দলে বিভক্ত হয়ে পুলিশ পাহারা দিচ্ছে।
এ সময় স্থানীয় মসজিদে খালেদ বিন ওয়ালিদের জন্য কবর তৈরি হচ্ছিল। তখনও হাফেজ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের মৃত্যুর খবর আসেনি। সবার মাঝে চাপা ক্ষোভ আর আতংক। বেশ কয়েকজন প্রতিবেশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যতসব ঘটনা আধিপত্য বিস্তার ও ইটভাটা নিয়ে। গ্রামের মধ্যে একের পর এক চারটি ইটভাটা, পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, প্রতিনিয়ত ঝগড়া-বিবাদ লেগেই আছে।
জানা যায়,বাহারছড়া ইউনিয়নের দুই ইটভাটা ব্যবসায়ী পূর্ব ইলশা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ মিয়া চৌধুরীর পুত্র ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন ঝুন্টুর সাথে সমাজের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একই এলাকার দলিলুর রহমানের পুত্র নুরুল আবছারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, “বাহারছড়া ইলশা গ্রামের ঘটনায় নিহত হাফেজ খালেদ বিন ওয়ালিদের লাশ দাফন করা হয়েছে। অপর নিহত ইব্রাহিমের লাশ ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।”
ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগে ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ রয়েছে বলে জানান তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ