নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাঁশখালীর গুনাগরীতে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক এর বুথে অকারণে বিভিন্ন ভিসা কার্ড আটকে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে অহরহ। এতে গ্রাহকরা প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছে হয়রানীর। ঐ বুথে ১৭মে সাড়ে ৩ টার দিকে বাঁশখালী নিউজের সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ মনছুর আলম (এম আলম) এর ভিসা কার্ডটিও আটকে যায়। এই বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করলে ব্যাংকের এক কর্মকর্তা প্রথমে মনছুরের সাথে অসাধু আচরণ শুরু করে দেয় বলে জানা যায়।
জানা যায়, মনছুরের পুবালী ব্যাংক, কক্সবাজার শাখার কারেন্ট একাউন্ট নং- *****৬৫৬০ এর ভিসা কার্ড নং *****০৮৫৫ থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, গুনাগরি শাখার এটিএম বুথে প্রবেশ করা হয়। ব্যাংকের বুথ সিস্টেম হ্যাং হয়ে গেলে কার্ডটি আর বের হয়নি। পরে সিকিউরিটি গার্ডকে তাৎক্ষণিকভাবে জানালে, তিনি কার্ডটি ১ সপ্তাহর আগে আর পাওয়া যাবে না বলে জানান।
এই বিষয়ে মনছুর সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে এক কর্মকর্তাকে জানালে, তিনি প্রথমে উত্তেজিত হয়ে অসাধু আচরণ করে মনছুরকে বলেন, আপনি এই কার্ড আর পাবেন না, নতুন ইস্যু করার জন্য আপনার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে যোগাযোগ করুন। কেন কার্ড আটকে গেল তা জানতে চাইলে, ব্যাংকের ঐ কর্মকর্তা বলেন, আপনার ব্যাংক থেকে জিজ্ঞেস করেন কেন আটকে গেল, আমরা বলতে পারবো না। এছাড়াও ঐ কর্মকর্তা বলেন, তাদের এই বুথে অনেক গ্রাহকের কার্ড আটকে গেছে, যা এখনো ব্যাংকে জমা রয়েছে, ফেরত দেয়া হয়নি।
এই ব্যাপারে ভুক্তভোগী মনছুর বলেন, এই করোনার পরিস্থিতিতে লকডাইনের মধ্যে কক্সবাজার গিয়ে আবার আবেদন করা কি সম্ভব? অনেক ভুক্তভোগীর তো মেইন শাখা ঢাকাও হতে পারে! এই মুহুর্তে কি ঢাকায় যাওয়া সম্ভব? এই মহামারির আর্থিক সংকটময় সময় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, গুনাগরি শাখার কর্তৃপক্ষ যদি আটকা পড়া কার্ড ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করতে না পারে, অনেক ভুক্তভোগী গ্রাহক বিপাকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বশেষ বলা যায়, গুনাগরি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এটিএম বুথটি ঝুকিপূর্ণ। তাদের কাছে গ্রাহকদের সমাধান দেয়ার কোন আগ্রহ নেই এবং কিছু কর্মকর্তা চরম বেয়াদব বলে জানান মনছুর। এছাড়াও এই অসাধু উত্তেজক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের হেড অফিসে অভিযোগ করবেন বলেও জানান তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ